আজকাল আর কেউ আর হারাতে পারে না
যেখানে সেখানে ।
জানে, নেবে ঠিক খুজে জি পি এস ট্র্যাকিঙে।
কিন্তু যদি না থাকে অস্তিত্ব , তাহলে ?
হঠাৎই মনে হয় তার
প্রত্যেকটা মুহূর্তই দামী
যা ছিল আগে তার থেকে অনেক অনেক বেশী ।
জীবন সংক্ষিপ্ত , ফুরিয়ে যেতে পারে এখনই ।
কথার এমন গুরুত্বও সে আগে বোঝেনি
তাই রাত জেগে চ্যাটিং করতে পারে
সময়ের সঠিক মুল্য বোঝে কি সে ?
তার বাবাও বলে একই কথা
প্রথম হতে হবে ।
দিনের বেলাতেও , সবসময়
তাকে কি তাড়া করে বেড়ায়
অস্তিত্ব হারানোর ভয় ?
অস্তিত্ব জানানোই কি আজ জীবিতর পরিচয় ?
যে আমিও আছি ।
কিম্বা তার মুখশ্রী
পৃথিবীতে একটাই আছে বুঝি ?
বারে বারে তোলে সেলফি
প্রতিক্ষণ রাখে ক্যামেরাতে বন্দী ।
নিজের মুখের সাথে এত ভালোবাসা তার ছিলোনা কখনও
হটাৎ করেই হয়ে গেল।
আগে ভাবত শরীর মানে ক্ষয় ।
যতই ভুলে থাকা যায়
ততোই ভাল ।
হটাৎ ধারনাটাই যেন পাল্টে গেল ।
সে না বুঝলেও
সে না বললেও
তার ব্যাবহার বলে দেয়
সে ভুগেছে অনিশ্চয়তায়
ক্রমশ বাড়তে থাকা একটা গোপন ভয়
মনের অন্তরালে ।
সে নয় তার মনে
অতিত্ব বিপন্নতার ছায়া
মাথার ভিতরে, ঘুমের ভিতরে
ঘুরপাক খায় ,
এই বুঝি, সব শেষ হয়ে গেল ?
এই মুহূর্ত হয়তো আর আসবেনা কখনও
যদি আরও একটু বেশি বেঁচে নেওয়া যায় ।
নিজের মতন করে , কথা বলে , ছবি তুলে ।
একটা ঋনাত্বক ভাবনায় ।
যা প্রয়োজনের থেকেও বেশী
করে সচেতন ।
মুহূর্তগুলোকে ধরে রাখতে চেয়ে
সংক্ষিপ্ত করে জীবন
পাগলের মত করে আচরণ ।
মুক্তি নয় , কৃত্তিম মায়াতে আবদ্ধ হতে চায় ।
চিরদিনের তরে, সংক্ষিপ্ত ভাবনায় ।
আবিরাম ঘুরতে চেয়ে জীবনের চক্রে
স্মৃতির মালা গেথে যায় ।