ন্যায় বা অন্যায় , বিচারেই বোঝা যায়
কোথায় হে বিচারপতি
বিচার করে বল দেখি
তুমি তো আইন পাস
দেখে বল চারিপাশ
নিরপরাধও হয় অপরাধী, আইনের কোন ধারায় ?
মাথা কেন চুলকাও?
বই পত্র উল্টাও
খুঁজে দেখো ভিতরে
আছে কি লেখা তাতে ?
কাকে বলে অপরাধী ? আর কাকে বলে নিরুপায় ?
সত্তরের দশকে
ধরা পরে ছিল সে
ছিল কি অপরাধ ?
ভেবেছিল সারা রাত।
মাঝরাতে কেন পুলিস পরাল বেড়ি তার পায়?
নাই তার সাতকুল
পেঁকে গেছে সব চুল
চোখে দেখে ঝাপসা
ডাকে লোকে মউসা
শুয়েছিল ফুটপাতে, দেশ তার বিহারে পাটনায় ।
বলেছিল এজলাসে
বড় নাকি ডাকাত সে
করেছে সাত খুন
এবার মানবতার ভাবুন
এই নিরপরাধের কি শাস্তি, আছে কোন ধারায় ?
চিৎকার করেছিল
হাত,পা ধরেছিল
হয়েছিল শান্ত।
প্রমানিত ভ্রান্ত
যাবজ্জীবন হয়েছিল লেখা তার সাজার খাতায় ।
আজও সে ভাবে বসে
জন্মালাম এ কোন দেশে ?
সত্যের চেয়ে তথ্য বেশী দামী
তথ্যই করে ঠিক , কে সৎ আর কে বেইমানী ।
অর্থ একটাই “তথ্যেন পরিচায়তে” ।
ভাবনাটা অমূলক নয় , এভাবেও হয় নাকি
অপরাধীর জন্ম, পরাধীন ভারতে ?