ওরা ব্যবহৃত হয়, ব্যবহার করে
অনেক বছর ধরে
মনে আছে! ইংরেজ এসেছিল দেশে ?
অনেকদিন থেকেছিল, জামাই সেজে
যাবার সময় সঁপেছিল দেশ ভালোবেসে,
কাদের হাতে?
কারা করেছিল সন্ধি তাদের সাথে?
মনে আছে?
বিপ্লবী ছিল না ওরা কোনদিন!
নীতির বিরোধিতা ছিল, এখনও থাকে
এখনও হয় আন্দোলন স্বাধীন দেশে
তবে কেউ স্বাধীনতা চায় না
তারাও চায়নি! চেয়েছিল অধিকার
শাসকের আসনে শাসক হবার
ছিলও আরও অনেক কিছু,
বলতে যা মানা আছে, স্বাধীন দেশে!
তার পর থেকে, এই দেশে এটাই রিতি
ওরাই শিখিয়েছিল, মিলেমিশে গড়েছিল পদ্ধতি
সাজিয়ে গুছিয়ে আইন তৈরি করে
করেছিল নির্ধারণ,
কারা পাবে সংরক্ষণ , কারা থাকবে উপরে
আর কারা বসবে নিচে, হাঁটু গেড়ে!
এখন শুধু হয় পালিত অক্ষরে অক্ষরে
দেখেছো কি এমনটি কোন দেশে ?
কোন অপরাধী আসামী
হয়ে উন্নতিকামী গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে ?
পদের পাশে লেখা চাকর জনতার
অথচ! তাকেই বলতে হয় স্যার!
হোক যতই মূর্খ সে!
যতই হোক নিন্মপ্রবৃত্তির
মাননীয় বলে! দিয়ে সম্মান ডাকতে হয় ?
এখানে শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতাই
যোগ্য প্রমাণের মাপকাঠি নয়
অন্যান্য অনেক গুন রাখতে হয়
চড়তে হলে উন্নতির সিঁড়ি
রাখতে হয় তেলেরও পিঁপিঁ
সাথে মালিশের দক্ষতাও জানতে হয় ?
বলে তারা! তুমি এসেছ পৃথিবীতে
শুধুই সেবা দিতে আর নিতে
যদি কোথাও একটু বেশী কম হয়
নিতে পারলে! মানিয়ে
ঘাড় নিচু করে, ভালো মানুষ সেজে
সহজেই কাটিয়ে দেওয়া যায়
একটা সম্পূর্ণ জীবন বিনা প্রতিবাদে, নির্ঝঞ্ঝায়!
থাকে যদি অসুবিধা!
তারও পথ আছে খোলা
ঝাঁপ দিতে পারো ইঁদারাতে
অথবা ঝুলতে পারো সিলিঙের সাথে
কেউ কিছুই বলবে না!
ছাপা হবে কাগজে
একটা পাগল করেছে আত্মহনন
চামচের ভয়ানক অত্যাচারে।
আর যদি খোল মুখ! বিপরীতে ?
তাহলেই! মুখ বেঁধে!
ওরাই দেবে ঠেলে কোন অন্ধকার ঘরে,
চিরদিনের মতন,
অথবা করে মুণ্ডন , ঘোরাবে ত্রিভুবন
চড়িয়ে গাধার পরে ।
এই শিক্ষাই পাবে শেষে
করতে পারো হাড়ির বদনাম
কিন্তু চামচের অপমান!
কেউ সহ্য করে না! কেউ সহ্য করবে না! এই দেশে।