ওহে বৃক্ষ,
তোমার কি চোখে ঘুম জড়িয়ে আসে না ?
সারাদিন ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকো
সুতীব্র, প্রখর সূর্যালোকে ।
তবুও তুমি ক্লান্ত হওনা ?
অবোধ শিশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকো সারাদিন,
তাপের খেলার মধ্যে,
রৌদ্র-ছায়ার লুকোচুরি খেলায় ।
দান করো তব শীতল শান্ত ছায়া ।
পরিশ্রান্ত পৃথিবীকে দাও
শীতল আবেশ ।
তোমার ছায়ায় উঠেছি বেড়ে
সেই শিশুকাল থেকে ।
শুধু দেখি তুমি মোদের তরে
তোমার সবই বিলিয়ে যাচ্ছ অকাতরে ।
সেই প্রাচীনকাল থেকে অর্বাচীন লোকে -
দাঁড়িয়ে আছো তুমি বংশ পরম্পরায় ।
তবুও তুমি তব ধর্মে বিরাজমান ।

             (২)
কিন্তু দুর্ভাগ্য তোমার !
মিথ্যা অগ্রগতি আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতির
হাওয়ায় ফোলানো সমস্ত ফানুস
আজ তোমারই উপর বিষ্ফারিত হয় শুধু ।
অ-দূরদর্শী এ সভ্যতার নিদারুণ অত্যাচার-
বিলুপ্ত তুমি প্রায় !

ক্ষান্ত হই তোমাকে দেখে।
সূর্যালোকে পুড়ে যাওয়া নীলাকাশ যেমন শান্ত,
অতীব কোমল হৃদয় তার বর্তমান,
ঠিক তেমনই তুমি ।
হে পাদপ,
মহাদেবতা তুমি,যুগান্তর আদর্শ তুমি ।

তবে সোচ্চার হওনা কেন
এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ?
অবলা বলেই কি তুমি নিশ্চুপ?  নিশ্চল ?
পারো না প্রতিবাদ করতে ?
না কি আদর্শের সংঘাত ?
অপরূপ প্রতিদানই প্রাপ্ত তোমার !!

              (৩)
অট্টহাসি সগর্বে কেটে গাছ ক'খানা,
'দেখ ভাই এখানেই উঠবে প্রাসাদখান । '
ব্যাথা ভুলে গাছ হাসে,'ক্ষমা করো বিধাতা,
এদের কর্ম বা ফল এরা সত্যিই বোঝে না !!
             ______