কবিতার নাম :- খোকা।
কলমে :- বিশ্বজিৎ দাস
ওরে খোকা, আমার শৈশবটা না
কাটতো বিরাট আনন্দ আর মজাতে।
ছিল না বেশি কিছু চাওয়া,
অল্পতে যা চেয়েছি তাই পেয়েছি।
সেটাই ছিল আমার জীবনের
সব থেকে বড়ো এক পাওয়া।
বাল্যকালে গ্রাম্য পাঠশালায়
পঠন পাঠন শেষ করে,
ভর্তি হয়েছিলাম খোকা হাই স্কুলে।
হাই স্কুল থেকে পাশ করে,
বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলাম
বাংলা বিষয়ের স্নাতকোত্তর।
বাংলা বিষয়ে স্নাতক হওয়ার পর,
জীবনে এসেছিল বড়ো এক পাওয়া
চাকরি পেলাম খোকা,
হাই স্কুলে বাংলা বিষয়ের শিক্ষকতা।
তারপরেতে তোর মায়ের সাথে
বিয়ের পর তুই জন্মগ্রহণ করলি খোকা।
তোকে বড়ো করলাম খোকা,
তুই এখন বিরাট ইঞ্জিনিয়ার।
গর্ব করি খোকা আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার।
আমার বন্ধুদের কে চেঁচিয়ে বলি,
জানো তোমরা আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার।
দূর দেশে থাকে গো আমার ছেলে।
আমারও বয়স বাড়ল খোকা
শেষ হলো চাকরি জীবন।
তারপরেতে তোর মাও চলে গেলেন।
তুইও আমাকে একা রেখে গেলি বৃদ্ধাশ্রমে।
তাতে কোন দুঃখ নেই রে খোকা।
সর্বদা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি রে খোকা,
তুই ভালো থাক, তোর ভালো থাকাতেই
আমার ভালো থাকা।