সমাজ অসুস্থ
কেউ ভালো নেই,
সবার চোখে অতৃপ্তির ঢেউ
দিনান্তে ক্লান্ত মন,
ক্ষুদ্র কীটাণু মাটির গন্ধ শোঁকে।
পৃথিবী কষ্টভোগ করে-
মানুষেরা যখন অমানুষ হয়।
শারদ উৎসবের রঙ
বাংলার মানুষ গায়ে মাখে বারবার।
পুরাতনের আভিজাত্যের উপর
শিল্পীরা তুলির টানে
ঘটাবে নতুন সংযোগ।
আতশবাজির উৎকর্ষতা আর
সাউন্ড বক্সের আওয়াজে
হৃদপিণ্ডটা করে ধকধক!
আনন্দকে এইভাবেই নিংড়ে নিতে হবে!
রাত্রি গভীর হলে
কোলাহল শান্ত হয়,
অজস্র বেপরোয়া বিশৃঙ্খলতার
বর্বর পাশবিক রং লাগায়।
এভাবেই প্রতি বৎসর
আমোদ প্রমোদে বাঙালিয়ানা?
এইরুপ উৎশৃংখল অপসংস্কৃতি শিক্ষা
আগামী প্রজন্মকে প্রকৃত সুগন্ধযুক্ত
সুনির্যাস দিতে পাবে কি!
উৎসব সমাপ্তিতে দেখি চারিদিকে
অবশিষ্টাংশে  
বিপুল দুর্গন্ধময় আবর্জনা ছড়িয়ে।
ভক্তি প্রেমের এই মিলন উৎসবের
সাথে সমর্পকিত আনুষ্ঠানিকতার
পরিবর্তনের দরকার আছে কি?
প্রশ্ন রইল শুভ বুদ্ধির কাছে।
অধিকাংশ মানুষ অর্থাভাবে জর্জরিত;
গগনচুম্বি নিত্য পণ্য অগ্নিমূল্য,
মানসিক দুশ্চিন্তায় দিশেহারা
শিক্ষিত যুবসমাজ!
যন্ত্র মানুষের মতো টিকে আছে শুধুই।
গভীর অসন্তোষ জমে আছে
সহস্র হৃদয় অলিন্দের কুঠুরিতে।
এর হিসাব কে রাখে!
আর,আর কত শতাব্দীকাল
অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে-
উৎসবের স্নিগ্ধপরশ পেতে!
্্্্্্্্্্্্্্্্্্