চোখের জলের কি দোষ
তাকে তো দুহাত দিয়ে আটকাতে পারি না!
সেতো বাঁধ ভাঙা বণ্যার মতো!
সবকিছুর ঊর্ধ্বে।
কি অপরিসীম মনের যন্ত্রনা!
তাকে প্রতিরোধ করা দুঃসাধ্য।
ভীষণ মনে পড়ছে শৈশব ও কৈশোরে
ফেলে অতীতের মুহূর্তকাল।
মনে হয় এই মাত্র ছেড়ে এলাম
হাতে গোনা কয়েকটা
সন্ধ্যা সকাল।
অতীতের আদর মাখা স্মৃতিগুলো
আজ কেন অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ছে?
এর কোন উত্তর নেই কোন সমাধান নেই
আছে শুধু হতাশা আর সান্তনা।
আজ বাস্তব চিত্রের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে
নিজেকে শক্ত কঠিন রাখা
কত যে কঠিন কাজ
তা মর্মে মর্মে উপলব্ধীতে ধরা দেয়
জীবনের গোধূলি বেলায়।
সময়ের স্রোতে রঙিন বসন্তের
তরতাজা আনন্দ খুশিগুলো জলছবির মতো
ভেসে ওঠে মনের স্মৃতিপটে।
কাঁচের জানালায় মধ্যে দিয়ে দেখি
মা কি সুন্দর নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।
এই মুহূর্তে যে মানুষটা চিত্তরঞ্জন হসপিটালের
আই সি ইউ রুমে চিকিৎসাধীন।
দেহের অধিকাংশ কল-কব্জাগুলো ক্রমশ
শিথিল থেকে শীতলতর হয়ে পড়ছে।
এখনও হয়তো দেহে প্রাণ আছে
কিন্তু মুহূর্তকাল পরে ওই স্পন্দনটুকুও থেমে যাবে।
চির স্বপ্নের দেশে চলে যাবে সাধের দেহ চিরকালের জন্য।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏 🙏🙏🙏🙏🙏🙏