প্রত্যেকটা ভোরের মতো সূর্য উঠছিলো আজ সকালেও,
কিন্তু যেই মুহূর্তে আমি তার সাক্ষী হতে
এসে দাঁড়ালাম খোলা পাতার মতো
বিস্তীর্ণ মাঠে---
সেই যে আকাশ কালো হলো,
আর সারাদিন অরুণোদয় হলো না।
ধর্মতলার মোড় থেকে আমার যতদূর চোখ যাচ্ছিলো,
দেখলুম:
উড়ালপুলের সৌন্দর্য আর বস্তির সুমিষ্টতা...
দৃষ্টির অবরোহনের পথেই হঠাৎ বসন্তের অঙ্গনে লাগলো আগুন,
পুড়ে গেলো যতোটুকু সুগন্ধ ছিলো দেহে
সব ফুল - সব গাছ - অখন্ড সজীব সব কবিতা
সঙ্গে একটি মৌনতর চুম্বনের দাগও!
কেবল একটি দীর্ঘশ্বাসের ফলেই
উবে বাষ্প হলো অনন্ত অশ্রুসমুদ্র।
আমি তাকিয়েছিলাম নিথর ভিতরের পানে
দুঃখের কাঁটাতারে ঘেরা সরোবরে
টলমল করছিলো লবনাক্ত নীর;
বিরহ যেমন করে সুখস্পর্শে আলতো কেঁপে ওঠে,
ত্রস্ত হয়, ভয় পায়---
তেমনই একটি গূঢ় শ্বাসে এই বিপত্তি।
তারপর হলুদ নাম্নী একজন বিশ্বাসঘাতক রঙ
আমায় এসে বললে,
আমার শুদ্ধিকরণ প্রয়োজন।