আমার জন্য আর কেউ বসে নেই।
নীরব অন্ধকারে শুকনো পদ্মের পাপড়ির মতো
ঝরে গেছে একেকটা মন,
সমস্ত দেহ।
শেষ ট্রাম ফিরে গেছে শূন্য হয়ে
কল্লোলিনী সাদা-কালো, নিস্তব্ধ তাই।
আমার মদের গ্লাসে সিগারেট-ছাই ঢেলে দিয়ে
আমি এক অপার্থিব শান্তি ডেকে আনি;
কনকলতা কেঁদেকেটে বলে,
‘ত্রিভুবনে আমি আর ফুল ফোটাবো না।’
বিশ্বাস করো তুমি, ঋ,
ফাটা বালিশের পালকেও আমি অধিকারহীন,
ম্লেচ্ছ, অচ্ছুৎ
কিংবা
সমর্পণ-সংহারী!
সমগ্র প্রেম ও পরীক্ষার মাঝে
এক সেতু তৈরি করে
ঘুমহীন নিদ্রায় আচ্ছন্ন হই।
হেমলক ওষ্ঠে ছুঁয়ে একাকীত্ব সাধন আমার।
শিয়রে তখন মহাকাল---
এরোপ্লেন-শব্দের মতন বীভৎস রবে বলে বসেন,
‘অপেক্ষা নাকি শবদাহ?’
এ বছর ঋতুরাজের প্রবল অসুখ।