মৃত্যুর আগের রাতে আমাদের ক্ষয় হয় আত্মার মতো,
ধূসর ঘাসের বুকে শুয়ে থাকে সমস্ত আলোক-চেতনা :
আমরাই কবর খুঁড়ি--- ধোঁয়াদের ভালোবাসি--- প্রশ্রয় দিই---
শীর্ণতম নদীটির কাছে পুরুষের অঙ্গীকার করি, যেন আশা।
আমাদের স্মৃতির শ্মশানে দাউদাউ জ্বলে, দেখি, সন্তানের রিক্ততম চিতা -
আশ্বস্ত হই আর সোমাহুতি করি, এবং কাঁদা হয়না'কো;
সপ্তবর্ণে কাল প্রাতে আমাদেরও নিদ্রা যেতে হবে তাই,
জানলার অন্ধকারে অপর্যাপ্ত সময়টুকু কাটাই এভাবে।
জুঁইফুলের বিস্মৃত সুবাস অনুভব হারিয়েছে এই হেমন্ত থেকে,
মসীবর্ণ নৈরাশ্য বৃদ্ধ পিতাকে কাছে চায়; যদিও অন্ধ পেঁচা অপেক্ষমান...
মৃত্যুর আগের রাতে, হে আমার প্রগাঢ়তা, পাতার শিশিরে মগ্ন হও,
সভ্যতা, রুধিরধারে হায়ারোগ্লিফিকে কথা বলো---
ছায়ারা দীর্ঘতর--- কায়া তাই মহান ততো নয় বাস্তবে;
হাড়ের শব্দ পাই, সাদা হাড়, টগর-গুল্মে কতো ফুল!
কাস্তের মতো চাঁদ এই রাত্রে হলুদ! শঙ্কিত!
আমাদের বিশ্বাস বলে, ওর আজ প্রয়োজন বিহ্বল বিশ্রামের।
অযুত সবুজ নারী আমাদের কাছে এসে সাক্ষাৎ করে,
শতাব্দী-প্রাচীন ভালে নীল টিপ ছদ্মবেশে চৈতন্য ভোলায়,
সকলের সম্মানে আমরাও রেশমের উত্তরীয় রাখি
ফুল এঁকে - কৃত্রিম হেসে স্বর্ণাভ মুক্তোর মুকুট পরাই;
চালের গন্ধ মাখা ইঁদুরের গায়ে অনন্ত জ্যোৎস্না ঢালি বমির মতন :
উহার সরলচিত্ত, মমতাময় চোখে যাবতীয় অতীত দেখে করি উপহাস!
বিন্দু বিন্দু ঘি ঢালি--- বুকের আগুন দিয়ে প্রদীপ জ্বালাই,
যদিও সূর্যোদয়ে আর কোনো বিন্দু নেই। বিন্দু--- আছে?