আনন্দের উৎসেতো উৎসবে মাতি সবাই
স্মরণে উৎসব মেনে থকে মুসলিম ভাই,
মহরম সেইমত উৎসব ব’লে জানি তাই্
তখন দশ দিন শোক করে সিয়া সম্প্রদায়
আর শেষ দিন এতেে যোগ দেয় সুন্নীরা ভাই
বিবেকের দংশনে তারাও তবে বুক চাপরায় ।
সুদূর তীতে এজিদের অত্যাচারে তটস্থ সবাই
প্রতিবাদে মুখর শুধু হাসান হোসেন দুইভাই ।
পথভূলে কারাবালার মরুপ্রান্তে তারা পৌছায়
তাদের পরিবারে মাত্র আছে বাহাত্তর জন
তৃষ্ণার জল দেখে যখন ঈশ্বরে দেয় অর্চন
তখনই এজিদের বাহিনী করে ঘৃণ্য আক্রমণ
অসম যুদ্ধে হত সবে হোসান রোধে আক্রমণ
রক্তাক্ত দেহ হয়, তারে করে সত্যরক্ষায় সমর্পন
মহরম সেই হতে হাসান হোসেনের স্মৃতি তর্পন ।
সেইদিন সিয়াদের নানা গোষ্ঠী বহেন তাজিয়া
যারে তৈমুর বলেন তৈরী সমাধির স্মৃতি নিয়া ।
ঐদিনের লাঠি ও ছোড়া খেলা হল কপট যুদ্ধ
কারবালার প্রান্তে ঘটা সেযুদ্ধে সবে বাকরুদ্ধ
সেদিনের হতশ্বাস ওরা আজও বয়েবেড়ায়
হোসের দুঃখ স্মরে তাই বুক চাপড়ায়
কোনানা আবহে আজ তাজিয়ায় নিষেধ
তাই ব’লে মনে যেন কেউনা রাখে খেদ ৷
লক্ষ লক্ষ নাগরিক দুঃখের আঙিনায়
এদিন দুখের বাসরে সম্প্রীতি জানায় ৷(৩০/৮/২০)