কুমুদ রঞ্জন স্মরণে
তুমি বিশিষ্ট শিক্ষক হয়েও ছিলে যে শ্রেষ্ট পল্লীকবি
তোমার কাব্যে পেয়েছি আমরা নিখুত পল্লীর ছবি ।
হতদরিদ্র পল্লী আর কর্দমভরা বালুর সাবেী রাস্তা
জীবন সোনে সরল স্বচ্ছ আর শ্রমিক কত সস্তা
কোনকাজেই তারা দেয়না ফাঁকি চলেনা মিথ্যেকথা
ঘাস কাটে গরু চড়াই চাষ করে নির্দেশ মত যথা ।
সকালসন্ধ্যায় পুকুরঘাটে চলে মেয়েদের সব নালিশ
সন্ধ্যেবেলা কাজের শেষে বটতলে বসে রোজ মজলিস ।
পল্লীবধু গুন্ঠণবিনা যায়না কখনো যে গুরুজন সমীপ
প্রতি সন্ধ্যায় তুলসীমঞ্চে কল্যাণে সব দেয় সে সন্ধ্যাপ্রদীপ
তোমার কাছেই কাজী নজরুল পেয়েছে যে জীবনপাঠ
তাতেই সে গড়েছে কাব্যিক জীবন,ভেঙ্গে লৌহকপাট ৷
তোমার প্রয়াণদিনে তাই নয় আজ কোন হাহাকার
শুদ্ধপ্রাণে জানাই তোমায় সকল কবির সে নমস্কার ।