জন্মাষ্টমী
বহুদিন আগে মহাযোগী ব্যাসদেবের কালে
শিববরে বলীয়ান রাজা কংস মাতে মহাকালে
আপন ভগিনীরে পতি সহ বন্দী করে কারাগারে
দৈববাণী শুনে মৃত্যুরে চুনতি দেয় অহংকারে ৷
এদিকে মৃত্যুভয়ে ভীত রাজা কংস তার কারাগারে
বন্দী করে নিজ ভগিনী ভগ্নীপতিরে যায় নিজেবারেবারে ৷
তবু নিশ্চিন্ত নন রাজা তাই রোজ নিজে যান পরিদর্শনে
একদিন গিয়ে দেখেন এক সদ্যজাতা কন্যা রত ক্রন্দণে ৷
সব মায়া ত্যাগ করি স্মরি মহেশ্বর বাণী দ্বিধাগ্রস্ত মনে
মারেন আছার াআপন মরণে পাঠাতে সমন সদনে ৷
কিন্তু কী পরিহাস সেই শিশু যোগমায়ারূপে করে ভবিষ্যবানী
তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে সত। বলে জানি ৷
এদিকে ভরা ভাদরেজন্মে সে কারাগারে নিদ্রত রক্ষীরে দেয় ফাঁকি
ঘুমন্ত বাসুদেবে জাগিয়ে তোলে দুয়ার খুলে -যাইবলে মাতারে ডাকি
াাা বসুদেব দৈববাণী মতে গোকুলে রাখিতে যায় সদ্যজাত শিশুরে
যমুনার ভয়ালরূপে হতাশ দেখি মহামায়া শিবারূপে নামেন উদ্ধারে ৷
গোকুলে নন্দগৃহে যোগমায়া কন্যারে নিয়ে ফেরেন সেই কারাগারে
তখনো নিদ্রিত সব প্রহরী তাই নিজেরে ই নিজেকে বন্দী করে দ্বারে ৷
দেবকীনন্দন নন্দের গৃহে বাড়তে থাকে যশোদাদুলাল হয়ে
খুসিতে সে ডগমগ ননীচোরা আর মাখনচোরা নাম পেয়ে ৷
কংস প্রেরিতপুতনারে মেরে ফেলে দুগ্ধপানে বিষথলি স্তনে
শক্তির পরীক্ষা দেয় সে কালনদীতে কালীয় সাপ দমনে
সেই শিশুক্রমে হয় বলশালী ভীত কংস যুদ্ধে করে আহ্বান
শিববরে বলীয়ান কংসে মহেশের কৃপাধন্যহয়ে লয় তার প্রাণ ৷
এরূপদহু ঘটনা ঘটিয়ে মহাযুদ্ধে তিনি অর্জুনের সারথি হন
অক্ষৌহিনী সৈন্যসহ ভীষ্ম্ দ্রোণ কর্ণ সহ পরাস্ত দুর্যোধন ৷
সেই কতশত অঘটন পটিয়সী কৃষ্ণের জন্মদিন হল আজ
জন্মাষ্টমী রূপে তা পালিতহয়সব ভারতীয়ের ঘরে বিশ্বমাঝ ৷৷
ক