বন্ধ ঘরের দরজার আগে রয়েছে দাঁড়ায়ে ছেলেটি একা ,
টিনের ছাত রয়েছে সে ঘরে সামনে বেরিয়ে যায় যে দেখা ।
রেখেছে নামায়ে ঝুড়ি ব্যাগ তার যা বয়ে বেড়ায় দিনভর্ -
রেক্সিন ঢাকা খেলনা ভর্তি ঝুড়িতে পড়ে জল দরদর ।
মাথা ঢেকেছে রুমালখানায় সিঁটিয়ে রয়েছে দেওয়াল কোণায়
বৃষ্টির ছাট তবুও লাগছে আহা ঐ বুঝি ভেজে হায় হায় ।
আকাশে চমকি উঠিছে বিজুলী ভয় জাগে মনে হৃদি ওঠে দুলি
বার বছরের কিশোর নিয়েছে ঘরের ভার নিজ কাঁধেতে তুলি।
আমরা ঘরের ভেতরে বসি বৃষ্টির সুর শুনিয়াই খুশী
আহা ঐ অভাগারে বলে না তো কেঊ বসতে ঘরের ভেতরে আসি,
এই থামে জল ভাবিছে কিশোর আবার ছাইল মেঘ ঘনঘোর
উদ্বেগ মনে - হয় নি কো আজ ঘরের খরচ লাভে পাওয়া ওর।
পরণের বেশ ভিজিয়া একসা -
আর থামলে না চলে , তাই চলে পা-পা ,
পেটেতে ক্ষুধা নাহি সয় তর্ -
তবু ঘুরতে হবে বাকি দিন্ ভ'র ।
এমন বরষা এসেছে আজকে ,
থামিয়ে দিয়েছে সংসারের কাজকে -
শুধু জলখেলা চারিদিকে দেখ ,
দেয় যেন ঢেকে সব আওয়াজকে।
বাড়ালো কিশোর পা যেই ক্ষণে
আবার নামিল বৃষ্টি সবেগে সঘনে
আর কি পারবে খেলনা বেচিতে -
আজকে এ ভাবে ভিজিতে ভিজিতে?
হয়তো ঘরেতে নেই চাল ডাল ,
বৃষ্টি করিল সব গোলমাল -
আধাপেট খেয়ে রহিবে আজকে, চালাতে হবে আগামীকাল।
বার বছরের কিশোর তারে এত ভার দেওয়া কেন ?
হে বিধি ! বারেক ভাবিয়ো , লিখিলে এমন কপাল যেন ।
যে বয়সে সবে খেলে সারাদিন , জীবন চিন্তামুক্ত -
কিসের সাজা দিয়েছ বেচারা সদাই ভারযুক্ত ?
নামাইলে তার মাথার বোঝা, চিন্তা চাপিছে মাথে ,
চিন্তা চাপিলে খেলনার বোঝা বয়ে বেড়ায় বেদনাতে।