কানাকড়ি যায় না পাওয়া -শুধু কবিতা লেখার নেশা,
শুধায় লোকে করছো কি গো ?খুব বুদ্ধির কাজ ?
কি বা তোমার পেশা ?
দেখছি ওকে তাকিয়ে, কিন্তু নেই কো হুঁশ -
আপন মনে ছন্দ খুঁজি , খুঁজে পেলেই খুশ ।
সামনের জন ভাবছে - বুঝি বিরাট কিছু কাজ !
হয়তো মোটা অঙ্কের টাকার হিসাব মিলছে নাকো আজ ।
চেঁচিয়ে শুধায় হল কি তোমার ? ভাবছ কি হাঁ করে ?
ব্যবসায় এমন মোটা টাকা হারালে কেমন করে ?
আমি বলি ধুর্ ব্যাটা ! করলি সবই পন্ড ,
বুঝবি কি তুই ছন্দের মিল ? অকাট , মুর্খ , অপগন্ড !
বোঝে না সে শুধায় মোরে করছ কি কারবার,
বলি ওকে শ্রাদ্ধ করে দিলি তো কবিতাটার ।
জবাবে বলে ক'টা টাকা রোজগার হয় এতে ,
স্ংসারের প্রাণীগুলো পায় তো পরতে খেতে ?
দেখছি তোমার ব্যারাম বিষম পেয়েছে লেখার নেশা,
লেখার ভূত নিশ্চয় তোমার মনে করেছে বাসা।।
যেচে গিয়ে নালিশ জানায় ঘরের লোকের কাছে -
দূর করো এর কাছ থেকে যত কাগজ কলম আছে ।
দাও ছড়িয়ে সরষে খানিক ঘরের মেঝের প'রে -
গুনে গুনে রাখুক তুলে সারাটি দিন ধরে।
দেখবে যেন সদাই এজন বলতে থাকে কথা ।
এর মনে না আসে যেন খুশী কি বিষন্নতা ।।
এমনি করে যাও চালিয়ে বছর খানিক ভ'র।
বীমা দালালির কাজে লাগিয়ে দিও তার পর।।
নতুন নতুন লক্ষ্য কঠিন স্থির করবে যত,
লক্ষ্যের পিছে ধাইবে কবি খুড়োর কলের মতো।
ঠিক নামবে লেখার ভূত বুঝবে রোজগার -
লেগে গেলে টাকার নেশা, চিন্তা থাকবে না কো আর।
এত কিছু ঘটল আমার চোখের ওপর দিয়ে,
তখনো আমি পড়ে আছি সেই ছ্ন্দ নিয়ে।
বুঝতে পেরে বলছি আমি এ কি বলিস ওরে !
আমরা করি লেখালেখি দেশের জনের তরে ,
বিপ্লব হয় মোদের লেখায় বলতে হবে তাও কি ?
জবাব আসে ওহে অলস , অকর্মণ্য, পাগল হতে চাও কি ?
চাই না মোরা সমাজেতে থাকুক এমন লোক -
এক পয়সা রোজগার নেই শুধুই লেখার ঝোঁক ।