যতদূর মনে পড়ে-
তোমায় প্রথম দেখেছিলাম,
দেয়ালের পিনে ঝুলে থাকা এক সুনিপুণ ফটো-ফ্রেমে।
যেন হা করে অপলক তাকিয়ে থাকার উপক্রম।
কি চোখ, কি চাহনি!
এ যেন দৃষ্টির বান হৃদয়ে বিঁধছো
বরিষার ধারার মতো।
দিন কয়েক পরেই
ফটো-ফ্রেম থেকে যখন বাইরে এলে,
নজরে নজর পড়লো তোমার।
আর, আমি পড়লাম মায়ায়।
যতই দেখছি, ততই যেন তলিয়ে যাচ্ছি
তোমার ঐ মায়ার অতল গহ্বরে।
গায়ের বরন যেন দুধ আর আলতার মেলবন্ধন;
রেশম নরম চুল যেন কালো মেঘকেও হার মানায়;
আখিঁ যেন সদ্য প্রস্ফুটিত পদ্ম;
হাসলেই জোছনার বৃষ্টিতে সিক্ত হই অবিরাম।
আর, কথার ফুলঝুরি দিয়ে
এমন মায়ায় জড়ালে আমায়,
যেন ফেরার আর পথ নেই বাকি!
কি আর করার!
পড়ে রইলাম তোমার হৃদয়ের কোণে, কিছুদিন।
যেভাবে তেজপত্র পড়ে থাকে গরম কড়াইয়ের কার্নিশে, অবহেলায় - অনাদরে।
তারপর একদিন মায়া কাটিয়ে
হৃদয় থেকে উপড়ে ফেললে আমাকে
তেজপত্রের ন্যায়।
পাশ কাটিয়ে জীবন থেকে চলে গেলে
জনমের তরে।
তোমার সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো,
স্মৃতি হয়ে ঝুলে রইলো
আমার মন-দেয়ালের আলপিনে।
বুঝতে পারছিলাম না, কি হয়েছিল আমার!
ভালবাসা, নাকি মনের ভ্রান্তি মাত্র!
তবে, তোমার প্রস্থানেই প্রথম বুঝেছি,
আমিও একবার প্রেমে পড়েছিলাম।।