মেঘ জরিয়ে আকাশ পানে, কি সুন্দর চাঁদ!
চারিপাশে জোৎস্নার বানে, ভেঙ্গেছে যে বাঁধ।
আকাশমনি গাছের ডালে, জোরা পক্ষি নাচে,
এলোমেলো বাতাস খেয়ে, গাছ পাতারা হাসে।
ঢেউ তরঙ্গ দীঘি জলে, আকাশ এসে নামে,
সরল জলের ছলাৎ ধ্বনি, আমায় বুঝি টানে।
চাঁদের ছাঁয়ায় দীঘির জলে, প্রতিবিম্ব ভাসে,
চোখ ঘীরে, দুটি চাঁদের, ঘোর ছেঁয়ে আসে।
জলে ভরা দীঘি যেনো, এক চুটকি আসমান,
মন কহে ডুবি তাতে, জোৎস্নায় করি স্নান।
শীতল হাওয়ার ঝাপটা এসে, গাঁয়ে কাটা বিঁধে,
হরেক পদের অনুভূতি, মনটাতে সাধে।
দূর হতে ভেসে আসে, অচেনা ফুলের বাস,
বুহু কালে নিচ্ছি বুঝি, তৃপ্তির এক শ্বাস।
ঘাস ফুলের কোলে সুয়ে, কল্পনারা সাঁজে,
নরম দুটি হাত যেনো, আমার চুলের ভাঁজে।
কল্পনার সে নারী কন্ঠে, বাজে সুরো গীত,
সে সুর মনে মিশে, মন কে করে মোহিত।
তাহার মুখের মায়ার কাছে, চন্দ্র যেনো নিরশ,
এ কেমন অবাক মায়া, হৃদয় করলো বশ।
সে কী শুধু কল্পনা, নাকি মানবী, হয়তো এক পরি,
ইচ্ছে করে থামাই ঘড়ি, থাকুক এ মহূর্ত, আর সে প্রহরী।
সেই ক্ষণের কথপোকথনের,  আমার মুখেতে চঞ্চলতা,
বিষন্ন গল্পের প্রতি খন্ডের, সে-ই নীরব শ্রোতা।
মনখারাপের চন্দ্ররাতে, আমি কল্পকার,
বাস্তবের সেই রাত কে দিলাম, রুপকথার আকার।