বহুকাল পেরিয়েছে একা একা,
আমি এক প্রণয়ের কাঙ্গাল।
কত যে মহকাল করিলাম হদিস,
না মিলিলো প্রণয়, না কোনো কাহাল।
ধূধূ মরু প্রান্তর দেখে,
সুধাইছিলাম, মোর প্রণয় কই?
মরু কহে আমিও খুজি সে প্রণয়,
আকাশ পানে চাহিয়া, বৃষ্টির আশায় রই।
মরু ভুলে গেলাম বৃক্ষবনে,
বনকে ডেকে কই, প্রণয় কার?
বন কাঁদে আর কয়, সে চেয়েছে মানবের প্রণয়,
কিন্তু মানব করেছে তাঁরে উজাড়।
বিষন্ন মন নিয়ে নদে নেমে,
কইলাম, হে নদী দিবা একটু প্রণয়?
নদী কয় প্রনয় নেই তার,
সেও প্রণয়ের আশায়।
নিঃসঙ্গ রাতের আকাশ টাকে,
বলেছিলাম প্রণয় কি তাঁর আছে?
আকাশ কইলো, সেও চায় জোৎস্নার প্রণয়,
তবে তাঁর আঁধর ভেঙ্গে জোৎস্না নাহি আসে।
দেয়নি কেহ সে প্রণয়,
না, পরিবার, বন্ধু, কোনো জন।
প্রেয়সীর ছলনায় খুঁজতে যাইয়া,
ভাঙ্গিয়া আনিয়াছি মন।
আঁধার এ জীবটায় নাহি আসে আলো,
বারে বার উঠে একাকীত্বের প্রলয়।
যদি আসিত কেউ আলো হয়ে,
দিত সঙ্গতা আর একটু প্রণয়।