তুমি চইলা যাইবার, বহু বছর হইলো পার,
আমারো বারিলো ভার, অশেষ এ অপেক্ষার।
রাত হইলে নামিয়া আসে হৃদয়ে তমসা আঁধার,
কি করিয়া কাটাই রাত্রি, নাই কেহ শুধাইবার।
রাত বারিবার কালে, বারে যন্ত্রণা পুঞ্জ,
আমি খুঁজিয়া হয়রান তোমারে, কত যে কুঞ্জ।
কও হে সজনী, আমার একাই কেন এ রজনী,
কথা যে দিয়েছিলে থাকিবো দুজনি।
তবে কেন ছাড়িলে হাত খানা, এ অকাল বেলায়,
ভাসাইয়া গেলে চলিয়া, বিষাদের ভেলায়।
ঊষর এ জীবন খানা, চার পাশ যেন ঊন,
তোমার মূখরতা হারায়ে এ আমি, আজ খুব মৌন।
খালি এ ঘর খানা,ফুল ঝড়া বাগান খানা, দেয় তোমার স্মৃতির সাক্ষ্য,
তুমি না আসিলেও, আসে আজো, নিশিত শুক্লপক্ষ।
সহসা আজো ঘুম ভাঙ্গিলে, পাশফিরিয়া চাই,
শূন্যতা ডাকে হৃদয় বাঁকে, ওই মুখ খানা আর নাই।
খুব বিষাদে কাঁদি আমি,ছাতিতে জরাইয়া তোমার পিরান,
প্রভুর কাছে জানিবার চাই, কেন দিলো এ বিড়ান।
তোমার ছবি খানা যেন কয় কথা, শুনি যেন তোমার স্বর,
আমি পারি না পুষিতে এ ব্যাধি, আমি হচ্ছি নশ্বর।
এই কষ্টের মুক্তির পথ যে মোর নিঃশেষ,
জানি না কবে হইবে এ অপেক্ষার শেষ।
দেখো হে প্রেয়সী আমি করি অপেক্ষা বসে,
তোমার ঘুমন্ত সমাধি পাশে।