আমি আকাশের পানে চাহিয়া,
মেঘ দেখিয়া ভাবি!
এই মেঘ বাহনে চড়িয়া,
যদি যাইতে পারিতাম  বাড়ি।

যেখানে তে মেঠো পথ,
বৃক্ষরা  সারি সারি।
নেই শহুরে গোলমেল,
আর নেই দৈত্য সব গাড়ি।

এই উত্তাপের দুপুরে,
পুকুরে পুকুরে জল খেলা।
গাছ বাগানের টং আড্ডায়,
পেরিয়ে যায় কত বেলা।

রাত দুপুরের তড়িৎ বিচ্ছেদে,
উঠান জুরে গল্পের মেলা।
কখনো বা জ্যোৎস্নার আলোয়,
লুকোচুরির সব খেলা।

বাদল এলে টিনের চালে,
ঝিরি,রিরি সুরেলা শব্দ।
যে সুর যায় না এখন শোনা,
শহুরে ভবনে রয় আবদ্ধ।

ফসল মাঠে সোনার ফসল,
গাছে গাছে ফুল ফল।
নৌকা চলে হেলে দুলে,
নদীতে সচ্ছ জল।

নেই চারিপাশে ময়লা স্তুপ,
দূষিত ধোঁয়ার গন্ধ।
নেই যান্ত্রিক হাক ডাক,
নেই শহুরে যত মন্দ।

এখন শহুরে কলরবে মন খুবি জব্দ,
যতশত হৃদয়হীন কারবার।
একাকীত্বের এ জনপদে ,
গ্রামীণ স্মৃতিরা করে প্রহার।

ওহে মেঘদল করো না্কো ছল,
ধেয়ে আসো তারাতাড়ি।
আজি তোমার কোলে চেপে,
আমি ফিরিবো বাড়ি।