মধ্যবিত্তের মানে বোঝার, ক্ষমতা নেই সবার,
ছোট একটা শব্দে আছে, পুরো গল্পের সম্ভার।
মধ্যবিত্ত মানে, মনের ভাঁজে স্বপ্নে পরিপূর্ণ,
আর পূর্ণতার বেলায় গিয়ে, সবটাতে শূন্য।
কারণ স্বপ্ন পূরণে লাগে অনেক, মূদ্রা, কড়ি, অর্থ,
তাই মধ্যবিত্তদের স্বপ্নরা, সফল হতে ব্যার্থ।
সে স্বপ্ন গুলো পথে ফেলে, তেরে যায় বহুদূর,
মুখথুবড়ে পরে গিয়ে, ভেঙ্গে হয় চূড় চূড়।
বদলিয়ে দেয় জীবন, সময়ের মহাকাল,
অসময়ে হাতে তুলে, সংসারের ভাঙা হাল।
আর যখন চোখে আসে, অন্যদের পূর্ণতা,
হৃদয় তখন ভর করে, এক বিষন্ন শূন্যতা।
ছোট কাঁধে তখন যে দায়িত্বের বড় বোজ,
দিন শেষে একাকীত্বে, না পাওয়ার আফসোস।
বারে বারে মন করে, এক কথা স্বরণ,
যদি থাকতো বাপের টাকা, সব হতো পূরণ,
মানুষ তখন দিতো সম্মান, সমাজ করতো বরণ।
থাকতো বাড়ি, গাড়ি, কত অর্থ কড়ি,
মূদ্রার লোভে ঘুরতো পিছে কত বন্ধু, সুন্দর নারী।
তবে ফাঁকা পকেটে এ কথা ভাবা, যেন বিলাসীতা,
মধ্যেবিত্তের অভিশাপে, জীবন যে বৃথা।
হ্যা আমরা সবাই, সেই মধ্যবিত্ত,
বাস্তবতার সাথে রোজ, করি আমরা যুদ্ধ।
জীবন যেন কারাগারে, বন্দি আমরা আসামি,
মূল্যহী আমারা, তবে স্বপ্ন সব দামি।
এই ভাবে হাটছি জীবনের রাস্তা,
মধ্যবিত্ত হয়ে জীবন গড়া, এতটাও নয় সস্তা।
জীবন চলতে দিয়েছি, কত শত আহুতি,
তোমরা অর্থবানরা বুঝবা না, একজন মধ্যবিত্তের অনুভূতি।
ইহা নয় শুধু কবিতা, এ যে এক মধ্যবিত্ত আত্মার করুন আবৃতি...