আরে এটা কে? ভেবলা নাকি! কিরে ব্যাটা ভেবলা,
কি হইয়েছে, ডাকো কেন, জলদি বলো খেবলা।
এমনি কইরে ছুটছিস কেন, আমার জন্য দাঁড়া,
দাঁড়ার তরে সময় নাইরে, বেলা হইচ্ছে খাঁড়া।
আহা বাপু ছুটো কেন,  কীসের এত তাড়া,
ঘাটে যাবো নৌকা ধরবো,  যাবো যে ওই পাড়া।
তাইলে থামো,  আমিও যাবো, নৌকা কী আর যাচ্ছে হাঁরা,
আসো তবে জলদি করে, মস্তকে চেপেছে যে প্যারা।
কীসের জন্যে চিন্তা তোমার, শুকনো কেন চেহারা?
কইও না সে জ্বালা, দুদিন হইতে ছলেটা ঘর ছাড়া,
দেখতো চান্দ একি কান্ড! পালালো কেন হতচ্ছাড়া?
পাশের বাড়ির দামড়া ষাঁড়ে, খেয়েছে ধানের চারা,
সেই রাগেতে,  ছেলেটারে ধরে, মেরেছি এক ধাড়া,
সেই হতে দুদিন হইলো দেখিনি ছেলেটার চেহারা।
থাক কেঁদো না,ভেবে দেখো,  রাখবে ওকে কারা?
নদী পেরোলে, ওর নানাবাড়ি, ওই যে ওই পাড়া,
ওখানে গিয়ে খুঁজে দেখি,  জানে হয়তো তারা।
হুম তাই করো,  আর শোনো, সন্তানদের না বুঝিয়ে,
অহেতুক রাগে, গায়ে হাত উঠায় যারা,
আসলে মা বাবা নয়, কেবলই মূর্খ তারা।