এক কালো নক্ষত্রের রাতে নেমেছিলাম তোমাদের শহরে,
আমার কন্ঠ স্বর থেমে আবারও মেতে উঠেছিলো আঁধারে,
আমি দুহাত ভরে এনেছিলাম সুপ্ত অনুভূতি, আকাঙ্খা, ইচ্ছা,
যাহা হয়েছে বিলিন, আজ শুনাইবো তাদেরই কিচ্ছা -
তারপর বাড়তে থাকলাম তোমাদের শহরে,  যেমন বৃক্ষ,
গভীর অরন্যের এক কোণে, কোলঠাসা আগাছার অক্ষ।
যে বৃক্ষ দেয়না ফল কিংবা ফোটেনা তাতে ফুল,
যে বৃক্ষ  মিলে না কাহারও সাথে,  পায় না কোনো কূল।
এরপর শিখলাম বুঝতে, বেরোলাম খুঁজতে অনুভূতি,
পাইলাম তুচ্ছ তাচ্ছিল্য, অগ্রাহ্য, কেউ সুধাইলো না প্রীতি।
যেন আমি এক খন্ড বিখন্ড ভাঙ্গা আয়না,
আমাকে দেখাও পাপ,  ছোঁয়াও যে যায় না।
আমি লেপে ছিলাম মানুষের জীবনে, যেমন ধূলোবালি,
আলসেমিতে জমতে দেয়া ময়লা, মাখরোশার জালি,
তবে হঠাৎ অবসরে চেরা কাপরে, আমায় দিতো মুছে,
পেনসিলে লেখা ভুলের মত, রাবারে দিতো ঘুচে।
আর তখন মনে হতো আমি বোধহয় জং ধরা এক পদযান,
যে শুরুতে ছিলো প্রিয়, তবে এখন সে বেমানান।
চোখ কুঠরীতে জমতো তরল বিষাদ,
মন চাইতো প্রকাশ করিতে সে আর্তনাদ।
পরিশেষে উৎসর্গ হয়েছি তোমাদের আরন্যে,
যেখানে লেখা ছিলো ব্যার্থতা আমার নামে।
বেনামি গল্প গুলো আমার পরেছিলো একাকা,
না পড়েনি কেউ তাহাদের,  করেছে উপেক্ষা।
আমি ব্যার্থতায় ভর করে, সফলতার সমীপ যখন,
ভেঙ্গেছে আত্মবিশ্বাস, আমার বিধিলিখন।
না পারিনি আঁকতে নিজেকে তোমাদের খেয়ালে,
আমাকে এঁকেছে যত্নে সবে, অবহেলার দেয়ালে।
আমি পাইলাম না এক মানুষ, এত মানুষের বহরে,
আমাকে বুঝলে না কেউ,  আমি নিঃশ্ব এ শহরে।