মৃত্যু শয্যায় আমি আজ
ফেলে, বাকি রাখা সব কাজ।
পাব কি দু ফোঁটা জল তৃষ্ণা মেটাবার?
হাসি ফুটবে কি তাঁদের ঠোঁটের কোণে,
আমায় দেখে যারা করে মুখ ভার ?
কিংবা যাব চলে,
সময় না দিয়ে তৃষ্ণা মেটাবার।
তৃষ্ণা কি শুধুই জলে?
সে উত্তর অশ্রু সাগরের অতলে।
দিয়েছি কত বুক ভরা ভালবাসা ,
করেছি হয়তো কিছু আবদার ভাসা ভাসা।
পুরন কি তা হয়েছে কখনো?
মনের সেই ভাঙা কাঁচ ফুটে চলে এখনও।
মৃত্যু শয্যায় আমি আজ
ফেলে, বাকি রাখা সব কাজ।
মনে আছে,আমার বানানো
ঐ কাঁচা মাটির প্রদীপ টি?
দীপবলির রশ্নাই তে বড়ই ক্ষীণ তার দীপ্তি ।
টুনি বাল্ব আর বাজির দাপটে,
সে প্রদীপ আর জ্বলেনি বাড়ির চৌকাঠে।
আজ আমার জীবন প্রদীপ টি ও
যাচ্ছে নিভে।
জ্বলছিল যতদিন,জ্বলেপুড়ে ছাই হচ্ছিল
নীরবে নিভৃতে ।
তার থেকেই তো পেতে চলেছি মুক্তি আজ
থাক না বাঁকি,আমার রেখে যাওয়া কাজ।
মৃত্যু শয্যায় আমি আজ
ফেলে, বাকি রাখা সব কাজ।
না হয় আর করবো না,
ছোট সেই আবদার গুলো বাসী ।
আর দরজায় দাঁড়িয়ে বিদায় যানাবেনা
আমার পরিচিত হাসি ।
ধাওয়া করবেনা তোমাদের কে
স্নেহ মাখা সব প্রশ্ন আমার,
খুঁজবেনা আশ্রয় তোমাদের মাঝে
দুর্বল এই হাত দুটি আর।
দু-ফোঁটা জল তৃষ্ণা মেটাবার,
না হয় নাই বা আমায় দিলে।
প্রাণ জুড়াবে,
স্নেহের আঁচলে জড়ানো মুখ গুলো,
একবার দেখে যেতে দিলে।