হাতের যন্ত্রটা বলে,তোমার সাথে বেশ কিছুদিন
কথা হয় না আমার।
অথচ আমি জানি প্রত্যেক দিন কথা হয়।
একবার নয়, দুবার নয়, দিনে অন্তত
বেশ কয়েকবার কথা বলি তোমার সাথে।
রুমে যখন বসে থাকি
অন্য পাশে তোমাকে বসতে দেই।
আমি কথা বলি আর তুমি চুপ করে বসে শুনতে থাকো।
অনেক কথা বলি, অ-নে-ক!
অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ
অভিমান অভিযোগ আবদার সবকিছু নিয়েই কথা হয়।
আমার কথাগুলো কখনো কখনো আমাকে তোমাকে ছাড়িয়েও পাশের রুম পর্যন্ত চলে যায়।
ব্যপার না, যন্ত্রের যুগ সবাই যান্ত্রিক আমরা, হৃদয় রূপকথা হতে বেশী বাকি নাই।
রান্না করতে করতেও তোমার সাথে কথা বলি,
তোমার রান্নার হাত চমৎকার,
আবার ভোজনবিলাসীও বটে।
আমি তো রান্না খাওয়া দুটোতেই লাস্টব্রেঞ্চের ছাত্র।
কথা বলি হাঁটতে হাঁটতে কাজে যাবার সময়,
চার লেন এর রাস্তা একসাথে পাড় হই
কথা বলতে বলতেই।
গাড়ীর শব্দ কিংবা পথচারীর পাশ ঘেঁষে চলে যাওয়া
কিছুতেই কথা থামে না, যে পর্যন্ত কর্মস্থলে
যাওয়া না হয়।
রাস্তা পার হতে হতে যদি কোন একদিন
কোন এক গাড়ির সামনে পড়ে যাই,
আমাকে ঝাপটে ধরবে তো?
সময় দিনদিন অজুহাতের হাতেই আটকে যাচ্ছে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকেও কথা বলি তোমার সাথে।
কথার ফাঁকে ফাঁকে গান কবিতাও লেখা হয়ে যায় কখনো কখনো,সেগুলো তোমাকে বলি না।
জানি এসবে তোমার আগ্রহ কম।
তোমাকে প্লাস্টিকের চেয়ারটাতে বসিয়ে রাখি
এই তুমিটা বড্ড সরল সহজ সাবলীল।
তাইতো এত কথা বলতে পারি।
মানুষ যত কঠিন হয়,কথা তত কমে যায়।
হিসাব কষে গুনে গুনে কথা বলে কিংবা শুনে।
কঠিন মানুষরা কথাশূন্যতায় ভোগে,
তাদের কষ্টও অনেক।
সুন্দর কথাগুলোও ভেতরে জমতে থাকলে
একসময় বিষাক্ত হয়ে যায়,
সে বিষের আঁচড় পড়ে সমাজ সংসার এমন কি রাস্ট্রেও।
তাই কথা বলতে হবে,কথা জমিয়ে রাখা যাবে না।
রিয়াদ, সৌদিআরব।