আমি পথে প্রান্তরে নীরব আধারে একাকি নিসঙ্গ,
আর মায়ার জগতে মায়াহীন পথে বিরহী বিহঙ্গ।
অতল গভীর সাগর পাথারে ঈর্ষার ফেনারাশি,
একাকার জল কভু উত্তাপে বাষ্পীয় পরবাসী,
কোমল কঠোরে উদ্বেল ঢেউ গতিশিল সংঘাতে।
বাতাসে দোলায় চঞ্চল বৃক্ষ নিশ্চল ভাষাহীন,
আপন জগতে বিরহী স্বরূপ সবুজ উদাসীন,
পাতায় পাতায় সংঘাতে সুর ব্যাথাতুর বেদনাতে।
পথে প্রান্তরে নীরব আধারে একাকি নিসঙ্গ,
মায়ার জগতে মায়াহীন পথে বিরহী বিহঙ্গ।
নির্জনতার প্রতিকী আবেগে সবুজের প্রান্তর,
চিরযৌবনা চিত্রপটে হাহাকার ফোটে নির্বাক নিথর,
ঘন বন মায়া-মিরচিকা রূপ বিনাসী।
ক্ষুরধারা স্রোত স্রোতস্মিনীর বেদনায় ধূ ধূ বালুচর,
ধরনীর শোকে পৃথীবির বুকে জাগে মরু প্রান্তর,
মরুঝড় এ বুকে ধূলায় ধূসর ভীষন সর্বনাশী।
পথে প্রান্তরে নীরব আধারে একাকি নিসঙ্গ,
মায়ার জগতে মায়াহীন পথে বিরহী বিহঙ্গ।
অসীম নীলিমা সীমানাবিহীন অপার শূণ্যতায়,
ধোয়াটে জমাট বাষ্প ছোটে বিষাদের ঠিকানায়,
মেঘেদের দল বারিধারা ঝড়ে ঝড়ায় চোখের পানি।
অঝোরে অশ্রু ধারায় ঝর্ণা পাহাড়ি প্রপাত,
নিকষ আধারি গুমোট হৃদয়ে অরণ্য রাত,
নির্জন বন প্রান্তর নিশ্চুপ অভিমানি।