একটি অতি সাধারণ পোর্ট্রেট
কিভাবে আত্মগোপন করে থাকে জানিনে
মাঝে মাঝে মনে হয়
সেই আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ চিত্রকর্ম
জানেনা কেউ।
গ্যালারির একমাত্র আমিই প্রদর্শক
আমি দর্শক।
ব্যস্ততার অবসরে ব্যস্ত হয়ে
বিশ্লেষণ করি তাঁর
ভালোবাসার জ্যামিতিক রেখা
অদ্ভূত আত্মবিশ্বাসে এঁকেছি
অদৃশ্য সব জ্যোতিরেখা - তার চোখে
চোখের ভাঁজে ।
দেহের দৃশ্য অংশের তার প্রাপ্ত যৌবন
যেন ¯কবির জন্য উন্মুক্ত আহ্বান
তার মৌন হাসির আড়ালে কেবল মিলন রেখা
ছড়িয়েছে যৌবন তরঙ্গ ।
চাকচিক্যের কোন রং নেই
নেহাত সাদা মাঠা উপস্থাপন
কেবল অবোধ্য অভিব্যক্তি
সারা ক্যানভাস জুড়ে।
দৃষ্টিতে স্পস্ট আত্মবিশ্বাসের প্রকাশ
মরমি চোখে অনন্তকালের আহ্বান
ধ্বংস যজ্ঞের কোন চিহ্ন নেই
সারা কপোল জুড়ে।
নিটোল চামড়ার আড়ালে নিবদ্ধ
চুম্বনের চুম্বক রেখা
হরণ করে এই কবির যৌবন
আর আজন্ম ভালবাসা।
একটিইতো চিত্রকর্ম
পুরো গ্যালারি জুড়ে
একটিই উন্মুক্ত দ্বার
সেখানে শুধু কবির প্রবেশাধিকার
সংরক্ষিত ।
এই একটিই চিত্রকর্ম
কবির ত্রিশ বছরের সাধন ।