শেষ  বিকেলের গল্প
….......................

সূর্য গেছে অস্তাচলে
সমুদ্রের গর্ভে নয় পাহাড়ের মায়ুং কপালে।
দেখি-
কিভাবে অন্ধকারে ডুবে যায় শহরগুলো
আদিবাসীদের গ্রাম আর ঘর
হেরে গেছে কেরোসিনের কিছু আলো
নিয়ন বাতির কাছে
চেনা জানা রাস্তার মোড়ে মোড়ে
অচেনা মানুষের ভীড়
অচেনা সব দেনদরবার
ব্যস্ত সবাই বেলা শেষের লেনাদেনায়
রাস্তাঘাটে কোন পাহাড়িই চোখে পড়েনা
বন্ধু এক পাহাড়িকে খোঁজ নিই
বলে-
সে এখন পানশালাতে ব্যস্ত
ভাবি-
অলস পাহাড়িদের এই সময়টায়  ঐতিহ্য রক্ষার উত্তম সময়
আর হর্তাকর্তারা বিদেশী ব্রান্ডে চুমুক দিতে দিতে
পরস্ত্রীর সৌন্দর্য ব্যাখ্যায় রংতামাশায় ব্যস্ত।
একটু দূরে ঘুরতে যাবো ইচ্ছা হলে-
নিরাপত্তার প্রহরী গতিরোধ করে বলে
এই পর্যন্ত
আর যাওয়া যাবেনা
নিরাপত্তার অভাব
বলি-
আপনারা আছেনতো!
অদ্ভুত ভাবে লোকটি আমার দিকে তাকালে
বুঝেছি-
আমাদের স্বাধীনতা খাঁচার ভিতরেরই স্বাধীনতা।

চেঙি ব্রীজে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি
সাঁই সাঁই করে উড়ে যায় পাহাড়ি সম্পদে ভর্তি যান্ত্রিক দানবগুলো
দানবের পেটে চোরাই কাঠ বা চোরাই মাল বলাই ভাল মনে হলো
মনটা হু হু করে কেঁদে উঠে
মনে হয় হারাতে বসেছি সবকিছু
চলে যাচ্ছে সব পাহাড় ছেড়ে
ভালবাসার মুখখানাও হারিয়েছে
বোরকার ভেতর!

কিভাবে যে হয় বুঝিনা
ব্রীজটা রাগে ক্ষেপে উঠে
একটুকুন নির্বাক প্রতিবাদ মাত্র
শেষে রাগটা কবির উপর দিয়েই চলে গেল
বলে-
কবি এখন রাত, এত রাতে এখানে কি?
বুকের ভিতর জঙধরা লৌহের রড ঢুকিয়েছ
এখন বোঝ ঠ্যালা!

আমি সবেগে হোটেল রুমে প্রবেশ করি। তারপর
এরপর করতে করতে
আবারও সেই পুরানো
শুধু তুমি আর আমি
দেখি ব্যস্ততা আমার তোমাকে ছাড়েনা!