ঈশ্বরের ভীষণ করুণা পেয়েছি-
তিনি নপুংসক করতে পারতেন
করেননি।
পৌরুষের যন্ত্রনায় আজ আমি অদম্য প্রেমিক
নির্দিদ্বায় বলি, ভালোবাসি তোমায়।
তার অভিশাপে ক্লিষ্ট হয়ে-
জীবন অবসানের আড়ম্বর শুরু হতো
নতুবা ক্লীবতার কাছে পরাজয়।
ভিতরের আদি হিংস্রতা অনায়াসে
গ্রাস করতো কালো হাতের থাবায়
একমাত্র ঈশ্বরের করুণায়
তীব্র ভালবাসার প্রবল পৌরুষ শক্তি
শোনায় আগামী প্রজন্মের ভালবাসার
সঞ্জীবনীর গান।
ভীষণ ভীষণ করুণা পেয়েছি-
তিনি জন্মান্ধ করতে পারতেন
করেননি।
চোখের ভিতরে চোখ, প্রখর দৃষ্টি শক্তি
মনন্তরের আড়ালে প্রবেশ করে, হৃদয়
চষে বেড়ায় অবিরাম অনাদিকাল।
অদৃশ্য, অস্পৃশ্যের উর্ধ্বে প্রবাহমান
মৌন ভালবাসা দগ্ধ করে
হৃদয় ।
একদিন-
হঠাৎ ফিরিয়ে দিলে গতি
প্রবাহমান জীবনের স্রোতে নেমে আসে মন্থরতা।
পুরুষ আমার
তারপরেও খুঁজে নেয় নতুন আশা
প্রীত হৃদয় আবার জেগে উঠে নতুন ভালবাসায়
খুঁজে সৌন্দর্যের উপলদ্বীপ
বুকের ভিতর জেগে উঠে প্রেমাগ্নি দ্বিগুণ হয়ে
মুক্ত করে জন্মান্ধের শাপ
আলো জ্বলে চারদিকে
ঈশ্বরের ভীষণ করুনায় ভালবাসা আবার
কাঁদায়।
আবার উদ্ভাসিত নতুন প্রেম-
জীবন থামেনা। ভালবাসা থামেনা।
তোমাকে ভুলে যাওয়া থামেনা, ঈশ্বরের ভীষণ
করুণায়।
জীবন, তুমি ঈশ্বরের ভীষণ করুণা
তুমি সর্বত্র সর্বসময় প্রবাহমান ভালবাসার এক নদী।