যাবো কোন দিকে?
এক দিকে ভূমিধস  পাহাড়ে
অন্যদিকে দাড়িয়ে গেছে কংক্রিটের মূর্তি আর দেয়াল
ভাগ হয়ে গেল একটি দিন
একটি বিকেল আরেকটি সকাল
মাঝখানে বারটা
আর সাধারণ মানুষের আকাল।

আমি বারবার বলেছি-
বাঁশের ইজোর নষ্ট হচ্ছে সজোরে
লৌহার গ্রিলে আটকানো বারান্দায়
বাতাসে কলাপাতার ঝাট কানির শব্দ বেশ ম্রিয়মাণ
অথচ কাচের বোতলের টুংটাং শব্দ আর কোমল  কোলাহল
শহুরের ক্যাসিনো থেকে পাহাড়  বেমালুম মানিয়ে নিয়েছে  বেশ।

বলেছি-
পাহাড়ের নগ্নভাবে স্নানের স্পটগুলো
শহুরের বাট টাব স্থান করে নিয়েছে
সব জাগায় নগ্নতাকে এখন স্বাগতম
হাটবাজারে মাঠেঘাটে রাস্তায় চৌমুহনীতে
নামে নয়নে উন্নয়নে ক্ষমতায়
ভাবময়ী ভাবমূর্তির সেকি নগ্নতার দাপ্তরিক দাপট! বলেছি পাহাড়েও বেশ চলে।

বলেছি-
এখানে নদী ঝর্নাগুলো হয়ে গেল হ্রদ
পাহাড়ের সুন্দরী রমনী এখন
সরল সুন্দরী রানী থেকে ক্রীতদাস
কিছু মানুষ অভাবনীয় ভাবে হয়ে গেছে অতি মানবিক রোগী।

বলেছি-
মুখোমুখি মুখ দেখে দেখে
কিছু সুখ খুঁজে খুঁজে
চেনা মুখগুলো বড়ই অচেনা আজ
নোটের কচকচ শব্দে ঐ মুখ
কেমন চকচক করে আর
দেহ নাচায় ঠিক পোষা প্রানীর মতো
কে কার পোষা-
কে কাকে নাচায়-
নাচন মুদ্রা না দেখে বুঝা দায়।

আমি অনেকবার বলতে চেয়েছি-
বজায় রাখি স্বকীয়তা
রৌদ্রে পোড়ানো পাহাড়ি রঙ
আমাদের নিয়ে যাবে বহুদূর।
তাই বলি-
আমকে ছেড়ে দাও ঠিক আমার মত।

ইহা একান্তই নিজস্ব  স্বীকারোক্তি।