ওগো মা-
কলির মা যশোদা,
তুমি কেন কাঁদো নিজের ভুলে !
নিজ যন্ত্রনা পূরণের তরে
যাদেরকে জড়িয়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছো-
তারা যে তোমার নয় --
কেন বোঝ-না -- মা--যশোদা !
তুমি তাদের ধরতে চাইবে ?
পারবে না !
তুমি তাদের বাঁধতে চাইবে?
ছিঁড়ে যাবে--
পারবে না !
তুমি তাদের নিয়ে বাকিটা পথ হাটতে চাইবে ?
চাইলেও ছেড়ে যাবে -
পারবেনা !
তুমি তাদের নিয়ে নতুন পৃথিবী গোড়বে?
যন্ত্রণা পুরি-
পারবে না !
তারা যে অন্য গ্রহের মা!
তোমার মাতৃস্নেহের বকুনি-
তাদের কাছে শাসন ,যন্ত্রণার ।
তোমার নীরব অভিমান-
তাদের কাছে নিরর্থক ।
তোমার ব্যথাতুর নিরবাশ্রু-
তাদের কাছে হাস্যকর, কুমিরের কান্না।
তোমার পাওয়া ,না-পাওয়ার যন্ত্রণায় ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাওয়া মাতৃ হৃদয়ের দালান-
তাদের কাছে সাহারার তপ্ত বালুকা রাশি।
মা ! ওগো মা!
তুমি আগেও কেঁদেছো!
কেঁদেছো গোপালের তোরে-
তবে পেয়েছো ,পেয়েছো তারে।
কিন্তু তুমি আজও কাঁদো প্রতিদিন প্রতিটি ঘরে ঘরে,
পেয়োও না পাওয়ার যন্ত্রনা ভুলিবার তরে ।
কাঁদো কাঁদো মাগো ---
কাঁদো তুমি --
আগেও কেঁদেছো, কাঁদছো ,কাঁদিবে যুগ যুগ ধরে।।