এই বসন্তে লাল পলাশ টা
দিল যবে দেখা ,
ফাগুনের এই প্রথম দিনে
১৯ শে পড়লো রেখা।
অজানা ভয় ,অচেনা আনন্দ
রয়েছে মনে মিশে ,
রেখার এবার হবে যে বিয়ে
এই ফাগুনের শেষে।
বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন
আসবে সবাই ঘরে ,
বর এসে নিয়ে যাবে যে
তারে নতুন বউ করে।
বরের নাকি অনেক জমি
অনেক গুলি পুকুর ,
মান রাখতে বাবা বেচেছে
বাড়ির পোষা কুকুর।
সব কিছু বিক্রি করে বাবা
নতুন গয়না এনেছে ,
ভাই বোন সবার জন্য
জামা কিনেছে।
মাসের শেষে বিয়ে যে তার
হাতে মাত্র কটা দিন ,
জমজমাটি করতে বিয়ে
বাবা করেছে অনেক ঋণ।
ভালোয় ভালোয় বিয়েটা হলে
সবাই যেন বাঁচে ,
আসলে মেয়ে তো বোঝা একটা
সকল বাবার কাছে।
মেয়ের বিয়ে না হলে কি হবে
ভাই যদি না দেখে ,
মা বাবা তাই থাকতে সময়
পাত্র খুঁজে রাখে।
সকল কিছু হয়েছে সারা
বাবার ও বেড়েছে ঋণ ,
গরিব বাবা হচ্ছে আজ ও
দিন থেকে দিন।
বিয়ের আর সাতদিন বাকি
ভাঙ্গলো রেখার বিয়ে ,
গয়না গাটি কম হয়েছে
বললো ঘটক গিয়ে।
ভাঙলো আকাশ এটা শুনে
রেখার বাবার মাথায় ,
সব কিছু হয়েছে সারা
এখন পাত্র পাব কোথায় ?
বিয়ের জন্য জায়গা জমি
গেছে সব ই ঋণে ,
সোনা দানা কিনেছি সব
বাকিটা ভেবেছি পনে।
পোড়া কপালির কত আনন্দ
বুক ভরে ছিল আশায় ,
আশার পাখি আজ গেছে মরে
মন ভরা আজ দুরাশায়।
বিয়ের দিন সকালে রেখা
নিরবে নিল বিদায়,
সকলের কাছে করুনা টুকু
করে নিয়ে আদায়।
প্রতি দিন ই পনের জন্যে
কত রেখাই মরে ,
গরীব রেখার বাবার শুধু
কেঁদেই বুক ভরে।