" সোহাগ পুঁথি"
বিপ্লব দাস
কতটুকুই পেয়েছি তোমাকে–
একটা শব্দ অক্ষরের জায়গা থেকেও কম।
পেতে চেয়েছিলাম আকাশ ছোঁয়া ।
কোনো এক অজানা পাখির মত
কিছু শস্যদানা সঞ্চয় করে
আনার মুহূর্তে যে.টু. কু পাওয়া
সেটুকু কিছুতেই মন ভরে না।
মন কেমন জানি দুঃখে ভরা হাওয়ার মত,
ধরণীতে লুটে পড়ছে মায়া সুরে।
তোমার সমস্ত কিছু বাধা বিঘ্ন, সাধ্য অসাধ্য, সুর সুরভী, বিষাদ বা বিভীষিকা বাঁধন গ্রাস করতে চাই।
অন্তহীন গুলিবিদ্ধ আকাঙ্ক্ষা মনে মিশে আছে।
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে সর্বদা তুমি রাঙা ফুল সুরভী ছড়ায়।
কলকাতার চরণে শতকোটি প্রণাম
তোমাকে যে যত্নসোহাগে এঁকেছে ।
নিজেকে চিনতে আর পিপাসা নেই,
নিজেকে নিয়ে কোনো স্বপ্ন নেই।
দিবানিশি তোমার হৃদয় জগতে ভ্রমণ করতেই যে আমি ব্যস্ত।
যেখানে লক্ষ যোজন সম প্রশান্তি।
জানি...
তুমিও মায়াকে খুঁজে পেয়েছো ।
মায়াকে গন্ধে, ছন্দে, কাজলে বিকশিত হতে দিয়েছো সহজেই।
তাই মায়া অশ্রু ধারায় সময়ের ললাট ভিজিয়ে দিলে।
এমন করোনা,
এমন করো না প্রিয়
ছিন্নভিন্ন পিপাসায় আমি যে দোদুল্যমান ,
ভাষাও আমায় আহ্বান জানায়
কথারাও পড়ে যায় সংকটে আমার মুখে ।
যেদিন এই ভুবনে সুতোঁ ছিঁড়ে চলে যাব,
তোমাকে ঘিরেই যেসব কাব্যকুঞ্জ রচিত
সেদিন তুমি ভিজিয়ে দিও প্রতিটি কবিতার পংক্তি।
সুন্দর ঘনাছায়ায় ফুটে উঠবে আমার পংক্তি মালা।
আমি তো দূরের এক প্রবাসী পাখি হয়ে দেখব।
সেদিন মন চাইবে হু হু করে আমায়
ধূলিকণার মতো হাতের রেখায়।।
তবুও তবুও কতটুকুই পেয়েছি তোমাকে
সময়ের বাকি সময় বৃত্তটা দিতে ইচ্ছে করে
পাইনি যে এই জনমের নিয়মে
যার সোহাগ পুঁথি বাস করে শুধু কবরে।।
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১৮/১১/২০২২
কলকাতা(গড়িয়া)