"সমাজ চিহ্নিত অন্ধকার"
            বিপ্লব দাস

আমাদের মানচিত্র পুরোপুরি দূষণগ্রস্থে ভরা।
পঞ্জিকা জুড়ে নিঃসঙ্গের  রসায়ন,
তা  বোঝার মত বোঝা নেই মস্তিষ্কে,
আবেশগুলো হারিয়ে ফেলেছি  অধৈর্যের  অনন্তে।
তবু আত্মার মধ্যে সমাজ সাজাবার নেই উন্মাদনার ব্যথা।
সমাজের মনঃপুত মানুষের মনগুলো এখন পৃথক  লালসায় রোগাক্রান্ত।

আমরা নিশ্চিতভাবে মেনে নিচ্ছি,
এই আমাদের সুস্থ জীবন।

আমিই বুঝি বিস্মিত বিজনে ভাসি বহাল দূষণে,
এই যে সহজ সরল কচিপাতাময় জীবন গুলো দূষণে বিঁধানো,
কেউ পায় না কি টের?
এই ঘন অন্ধকারেই  আদর,সোহাগ।

একদিন আমাদের আলোময় চিৎকারটুকু সম্পূর্ণ  ডুবে যাবে অন্ধকারে,
  আমরা শুধু অন্ধকারে খুঁজবো অঙ্গীকার,
মুক্তির সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যাবে ।
চাওয়া পাওয়ার কাব্য রচিত
হবে,
সরাসরি রগরগে যৌনতার প্রেক্ষাপট।
আর খুনের ঝিলমিল চমকপ্রদ দৃশ্য।
বন্ধু, পরিবার, পরিজন ভেঙ্গে
ভেঙ্গে ধুলো হয়ে যাবে,
ভালোবাসি বলা হবে না,
কাছে আসার শেষান্ত ছোঁয়া হবে না,
প্রতিনিয়ত আটকা পড়বো ধুলোর স্মৃতিতে।

প্রতিরোধের কোনো উদ্যমী আগুন নেই মনে,
অচল পয়সার মত আমাদের জীবন হচ্ছে প্রদর্শনী।
তল্লাটে ভরে যাবে দূষণ গাছে,
আমাদের প্রিয় রং হবে অন্ধকার।
তবু দিনে দিনে আমরা চারাগাছগুলোকে বড় করছি দুর্বোধ্য অন্ধকারে,
রোজ রোজ শেখায় স্বরবর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের উপর সাঁতার কাটানো।

আমাদের রুদ্ধশ্বাস রকম সাহস...

এ কি  অনিশ্চিত ধ্বংস পৃথিবীর?
আমরা বারংবার ভেবে নিচ্ছি  
  পৃথিবী যেন সুস্থতার প্রাচীর।

সুস্থ জীবন তো হারিয়ে ফেলছি নিজেদের দূষণ মনে,
কাগজ কুচির মত পড়ে থাকবে মানুষের দল,
সেই দূষণ কবর থেকে কেউ বলবে না,
কেমন আছো অন্ধকার সমাজ?
তোমার মানচিত্রও তো চায় সামান্য,
সামান্য বিরাম।

রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–৫/০২/২০২৩