"কথা কুয়াশা"
বিপ্লব দাস
তোমার জন্যই...
সম্পূর্ণ ছিমছাম সাজে এই প্রথম।
কোনো কৃত্রিম রঙে কিন্তু রাঙিনি,
আর কখনো এমন মনোদৃষ্টিতে আসেনি কোনো প্রেমিক।
অজুহাতের সমাধি দিতেই পারতাম,
কথাটা পাশ কাটিয়ে অন্য কথার স্রোতে হারাতেই পারতাম,
কিন্তু জানতে অজান্তেই তোমার বুকের মাঝে আমার একটা সংসারী তিল জন্ম নিয়েছে।
এই হিজিবিজি রুক্ষ শুষ্ক শহরে তুমি শুদ্ধ তালিকায়।
জনমানবী ছাড়া নক্ষত্র কিংবা জোনাকি জাগে যখন,
তখন তোমার হৃদয়ে মায়ালিপিতে কবিতা লিখি।
বাস্তব জলোচ্ছ্বাসে তুমি ফুটে থাকা মানে "এখন আমি ভালো আছি"।
কথা দিলে, আলতো হাসলে,
একসঙ্গে স্নান করবো জোছনার আলোতে,
যুক্তাক্ষের মত থাকবো পাশাপাশি কিছুক্ষণ,
হাতের তালুতে আঁকবো একটা প্রিয়তমা পৃথিবী।
বোতাম হারানো সেই নীল শার্টটাই পড়ে আসবে,
আমি মুছে দেবো নভেম্বরের গাঢ়কান্না।
কিন্তু আর কতক্ষণ থাকবো নিজের ছায়া নিয়ে এই ফুট ব্রিজের কাছে ?
মেয়েদের কিছু নিজস্ব সমস্যা থাকে তুমি তা হয়তো বোঝো না,
কিন্তু এখনো সময়টা করেনি এক্সপায়ার,
মায়ের প্রেসারের ওষুধ দিতে হয়
সময় মত, এটা তো জানো
নিখুঁতভাবে।
সময়ের ঠোঁট দিয়ে নেমে আসছে আগুন শুভেচ্ছা ,
আমার নিপুন ধৈর্য
মাছের কানকোর মতো লাল হচ্ছে,
আর কতক্ষণ হতে পারি তোমার নামের শীতশব্দ?
হারিয়ে যাচ্ছে মুখ থেকে আমার মায়াবী রঙ।
তোমার ঝলক, ভালোবাসার
জোনাকি উদ্যান হয়তো মিথ্যে ছিল,
অপেক্ষার দীর্ঘ নিঃশ্বাসে ডুবে গেলাম,
এই সন্ধ্যা শহরে থমথমে এখন বিষাদের গান,
তুমি কথা দিয়েছিলে কিছুদিন আগেই,
আজই ফিরিয়ে নিতে হল,
আসলে না...
তুমি আসলে না...
সত্যিই হয়তো জানা হলো না তোমার ভৌগোলিক,
সেজন্য তুমি কথা দেবার পরেই বুঝি এ শহরের কুয়াশা নামে।।
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১২/১১/২০২৩