"যেতে দাও আমায় পাখিদের সংসারে"
               বিপ্লব দাস


পাখিদের মতো আমার নরম মন –
কোনো জটিলতার সমার্থক শব্দ নেই।
তাই বিধ্বস্ত পৃথিবীতে মন চায় না থাকতে।

রানুদিকে ,আমার বিদায়
বিষয়ক কবিতা শুনিয়েছি–
"আমায় যেতে দাও,
যেতে দাও রানুদি
ওই পাখিদের সংসারে"
বহু কষ্টে জীর্ণ পাতায় লিখেছে আমায় আমন্ত্রণপত্র।
পৃথিবী নামক হসপিটালে আমার অসুখ কমে না,
  অসহ্য শয্যায় শুয়ে থাকি।।

আমার যেতে দাও রানুদি...
বহুদিন স্বপ্ন বীজ দীর্ঘশ্বাস
ছেড়ে
বুলেট রূপে ফুটে উঠেছে বুক পকেটে।

জানো রানুদি, আমার
বয়ঃসন্ধি জীবন এখন
শৈশবে ফিরে এসেছে,
এমন শান্তিপূর্ণ মনোবাস পাবো ভাবিনি ,
আমি ভীষণ খুশি।।

আমার খুশির আলোড়নে তুমি এত নিরব কেন?
এক পংক্তির কবিতা শুনেই
"মন খারাপ"
অসুখের আয়ুগুলো ফুটফুটে কচি ঘাস বুঝি জন্ম নিচ্ছে
হৃদয়ে।

ইসস, এমন কুষ্ঠবাদী মন খারাপ কেন??
আমার হৃদয় পথে তোমার
ছায়া পথ, ন্যাপথলিনসম গন্ধ।

আর আমি  তো গোপনীয়
ক্যানভাস  দিয়েছি তোমায়।
জেগে জেগে সেই কক্ষপথে
আমৃত্যু প্রজাপতি হয়ে ভ্রমণ করো।
জোছনারাঙা জীবনময়ী শ্রেষ্ঠত্ব কবিতা লাইনগুলো তো
তোমার নামেই,
আজও গপ্ত সূর্য মনে বিষিয়ে
ফেলিনি।

ভরসা রাখো রানুদি...
তোমার জানলায় এসে পালক
গুঁজে যাবো
আমায় পাখি হতে দাও ,আমায় পাখি হতে দাও
লুটেপুটে খাচ্ছে আমায়, দূষণ ঋতু ।
আমায় যেতে দাও রানুদি..
লিখতে চাই যে একটি
পাখিদের আত্মজীবনী।।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–৫/০২/২০২৩