"দুঃখী মেয়ে"
     বিপ্লব দাস

জানিনা দুঃখী মেয়ে ,
তোমাকে আর কতটুকুই দিতে পারি সুখের উদ্যান ।
খুশি হবার উপসর্গগুলো বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে বাতাসে ।
আমার উপস্থিতি তোমার কাছে অস্পষ্ট কুয়াশার মতন দেখাচ্ছে ।
আমি পারছি না উপঢৌকনস্বরূপ একগোছা জোনাকি এনে দিতে ।
এমন সন্ধ্যা বৃষ্টির ঐকতানে রোমাঞ্চে ভরে উঠবে অচেনা রাস্তাগুলো বা প্রজাপতি মেলাতে ভরে উঠবে শহর।

আমি বাক্য বীনা  নীরব পাখির মতন বসে থাকি।
আমি পারিনি তোমার সুখের ক্যানভাস হতে।
চারিদিকে ঝাপসা দীর্ঘনিঃশ্বাসী লতাপাতা আমায় ঝাপটে ধরে।
আমার সতত মনের আকাঙ্ক্ষা,
তোমার জন্য যুক্তাক্ষর কুঁড়ি সর্বক্ষণ নবাগত থাকুক,
তোমার শুকনো চোখের ধারাপাত, বড্ড কষ্ট পাই।

জানিনা দুঃখী মেয়ে তোমাকে আর
কতটুকুই দিতে পারি সুখের উদ্যান।
বারংবার মনে হয় তোমার জন্য পারিনি কিছুই করতে।

শহরের সমস্ত দেওয়াল লিখন মুছে গেল,
বা মানুষের মনে  মানুষ মুছে গেলেও,
তুমি শুধু তুমি মেঘলা আকাশের মতন
মনের বিজ্ঞপ্তিতে সর্বক্ষণ ছেয়ে থাকবে,
সেখানে মিশে যাবার কোন সংক্রামক নেই।

তুমি আমার না পাওয়ার আফসোস, আক্ষেপ, মনের অস্থিরসম জোয়ার, না পাওয়ার মেঘঅশ্রু।
মানুষ তো উধাও হয় বীনাকারণে,
তুমি তো থেকে গেলে বীনাকারণে।
বুঝে গেছি দুঃখী মেয়ে
বীনা –বীনার পুঙ্খানুপুঙ্খ ফারাক।
তাই,তোমার জন্য আমার সামান্য,
সামান্য বিশুদ্ধ স্বরলিপি থাকুক অঞ্জলি,
যতদিন আছি এই রহস্যময়ী পৃথিবীতে ।

রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২/০৪/২০২৩