"বন্দরে না আছো তুমি অন্দরে"
বিপ্লব দাস
তুমি যদি হারিয়ে যাও কোন এক বন্দরে।
ভুলে যাও যদি সংসারিক জীবন,
ভুলে যাও যদি আমায়,
তবুও তুমি থেকে যাবে হৃদয় আমার অঙ্গনে।
কিন্তু আঁধারকে ঘষটে ঘষটে বেঁচে থাকার জন্য করেছিলে কলরব।
ধরার মত একটা খরকুটোও পাওনি ,
ডুবে আছো
সন্ধ্যা নামার আগেই ডুব যন্ত্রণায়।
সেসব বালিশে চাপা পড়া নিদারুন উপন্যাসের ইঙ্গিত ছিলো–
এই তোমার রাতের শেষ ঘুম,
জোনাকি স্বজনদের চেয়ে চেয়ে দেখা,
আশেপাশের মানচিত্রটা পৃষ্ঠার মতো উল্টাপাল্টে এই শেষ দেখা,
প্রিয়জনদের শান্ত নদীর মতো মুখ গুলো নিবিড় ভাবে চেয়ে দেখা।
জীবনে অঙ্ক কষাকষি ছকগুলো নর্দমায় ছুঁড়ে
মেঘের মত ছুটবে অজানা প্রান্তে।
এই শেষ আলাপন...
মন থেকে সমস্ত কথা মালা কাঠ হয়ে যাবে,
তবু আঁখিতে কোনো বৃষ্টি রেখা ফুটে উঠবে না।
তোমার যন্ত্রণার আর্তনাদ কেউ বোঝেনি,
তোমার অপেক্ষার গল্প সর্বদাই
দুঃখের কবিতায় ঘর সাজায়।
দুঃখই যেন তোমার সর্বক্ষণের সহযাত্রী
আগলে রাখেনি কোনো প্রিয়জন তোমার জন্য একটু শুশ্রূষা।
তারপর নিশুতি পেরোনোর পর এক প্রভাতে হঠাৎ শুনবো নেই তুমি
তুমি হারিয়ে গেছো ..
তুমি হারিয়ে গেছো..
শহর জুড়ে তোমার বিজ্ঞপ্তির পাশে রোদ্দুরছায়া দাঁড়িয়ে থাকবে।
কেউ কেউ বলে উঠবে আহা– কোথায় হারিয়ে গেল মানুষটা!
আমি মনে মনে বলে উঠবো আমার কবিতার এখন স্বর্গসুখ
এখনই তো সব সুখের সময়।
কারণ, ভালোবাসা না পাওয়ায় কত কবিতা
নির্বাক চিহ্ন হয়ে যায়।
তবে তুমি যদি সর্ব জনমে হারিয়ে যাও
অন্য কোথাও বা বন্দরে–বন্দরে,
তবে তুমি আছো...
আছোই সর্বক্ষণ আমার ব্যথা হয়ে অন্দরে।।
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১৮/১০/২০২২