"বেদনার স্পন্দন"
বিপ্লব দাস
আঠাশটা বসন্তই বিষাদ কফিনে বন্দি।
একাকিত্বের আকাশসম
পাহাড় নিয়ে সংকেতপূর্বক স্বাদ নিয়ে চলেছে জীবন।
ঠিকানার সম্মুখে ঘোর অন্ধকার,
হলদে পাতায় অজস্র রোগের নাম।
শেষবার তাকে কবে বলেছি না বলা কথা,
শেষবার তাকে কবে বলেছি পৃথিবীর কয়েকটি শ্রেষ্ঠ কবিতার নাম,
শেষবার তাকে কবে বলেছি হৃদয় মুদ্রা দিয়েই কিনে দেবো তার মন,
কবে কবে কবে......
জানিনা, মস্তিষ্ক শুকনো পাতার মতো শুকনো হয়ে গেছে।
নড়েচড়ে বসবার মত কোনো ফুটফুটে দৃশ্য
কাজল চোখের মেয়ে,
কিংবা ঝড়ের পৃথিবীতে প্রকৃত বন্ধুর সাক্ষাৎ,
অন্তত আমার হৃদয় চিত্রে পায়নি
মানুষ নামের কোনো পাখি।
একদিন এই হৃদয় হয়ে যাবে নিশ্চিহ্ন নৈবেদ্য।
তবুও মানুষই একদিন খুঁজে
নেবে আমার নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি,
ছেঁড়া কাগজের টুকরো।
আমি দ্রুত হাওয়া এম্বুলেন্স এর মত আমার অস্তিত্ব মুছে চলে যাব।
তখন আমার কথা কিংবা কবিতার সঙ্গে রাত দিন জেগে থেকো,
আবেগের গভীর মানে তখন বের করো?
অথচ আমি চেয়েছিলাম ধীরগতির দীর্ঘজীবী মেঘের মতো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি,
চেয়েছিলাম মৃদু বাতাসের মতো স্পর্শ,
চেয়েছিলাম ভালোবাসি বললেই পৃথিবীতে নতুন নতুন উৎসব হবে।
চেয়েছিলাম পাতাতে পাতাতে টোকা লেগে নতুন সুরে জড়ানো সূর্যিটকি হৃদয়।
চেয়েছিলাম দীর্ঘ অপেক্ষার পর আকাশ ছোঁয়া শান্তি ছায়া আমাকে আঁকড়ে ধরবে।
অথচ আমার বেদনার স্পন্দন,
উদাসী পান্ডুলিপি,
নিঃসঙ্গ পাখির মতো স্পষ্ট একা,
জ্বরে লেখা হৃদয় দলিল,
কেউ সুদীর্ঘতম আদরে আলপনে, আলাপনে আমায় আঁকেনি।
এ সময় স্রোতে কোন যুদ্ধ নেই
অথচ চোখে চোখে ,
মানুষের মনে মনে ভীষণ যুদ্ধ।
আমি অপেক্ষার
পাহাড় শুধু খনন করে চলেছি।
আমি চাই কেউ একজন আমার অশান্ত জলে স্নান করুক,
বুঝুক আমিও কতটা শান্ত ,নরম, তুলতুলে..
যা ঘন আবেগেই বলতে পারে তৎক্ষণাৎ আমার নামে একটি কবিতা।
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২৩/০২/২০২৪