আধুলি
বিপ্লব দাস
মাঝে মাঝে মাঝরাতে ল্যাম্প লাইট জ্বালিয়ে ভাবি তোমাকে,
তোমার আত্মার ভেতরে কত বৃহৎ হয়ে গেছি দিনে দিনে–
সে যে গেলবেলার দহনদগ্ধ হৃদয়ের ঝরা পাতাগুলো গোপনেই ঝরে গেল।
তারপর, ভালোবাসার নীল পালকটা
তোমার শুশ্রুষা অনন্ত পেয়ে
শূন্যতায় হৃদয় ভরে ওঠে খুশির গুঞ্জনে।
আর তুমি সাদা বসনে মুড়িয়ে দিলে,
বুঝেছিলাম তোমার প্রিয় রং সাদা।
এখন শুধু জোড়া জোড়া পায়রা,
উড়ে যায় অনুপম শান্তিতে।
লাল লালিমার রং চোখে দেখলেই আমার
বুঝতে পারো, আমার মন খারাপ করেছে ভীষণ।
তুমি আমার সেই পুরনো আধুলি,
বুক পকেটে রেখে দিই সযত্নে;
মনের ভুলেও খরচ করি না।
তোমাকে শুধু তোমাকেই সঞ্চয় করি,
কারণ বাকি জীবন তোমাকে পড়বো
বাছাই করা সবচেয়ে প্রিয় গল্প বলে।
আমি বারংবার ভাবি তুমি কতটা পরিমার্জিত, পরিশুদ্ধ, ঋতুভেজা রাবীন্দ্র অনুভূতি, নরম পালকে আঁকা মন।
সেজন্য বড় হতে হতেও আরও বড় হতে ইচ্ছে করে,
মনে হয় যেন আজও বড় হইনি,
তুমি আমার সেই অন্তরের আয়না,
যা বদলে গেল দ্রুত ভোরের অসমাপ্ত ডাক,
আলো নিখাঁদ ঠিকানাটুকু।
পূর্বজনমে না পাওয়া তুমি একদলা মাটি,
সত্যাক্ষরগুলো ফুটে উঠছে এই জনমের হাসিতে।
আমাদের সময় গেছে কারণ গাছে লটকে,
সে কারণ কখনো সহজেই ফুটে উঠবে না,
তোমার পিছু আমি কেন? আমার পিছু তুমি কেন?
এ ঐশ্বরিক ভালোবাসা,
সে সব উত্তর আছে শুধু ঈশ্বরের কাছে।
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–৬/০৩/২০২৩