আঁধার দর্শন"
বিপ্লব দাস
একদিন নিজের ছায়া দেখেই বড্ড মায়া হবে,
কল কল ধ্বনিতে বেজে উঠবে মন ।
মোটা ফ্রেমের চশমা খুলে শুধু আঁধার দর্শন ।
তাছাড়া স্বচ্ছ বাংলা হরফে লেখাগুলো অস্পষ্ট দেখাবে।
মনে হবে আহা কত না ভুলে ভুলে জীবন কাটালাম ,
সঠিক কাজের কোনো সূচিপত্র থাকবে না ব্যর্থ জীবনে।
প্রেম বৃষ্টিছায়ে ছিল মরীচিকা তা বুঝিনি,
ভালবেসে ডেকেছিল যারা,
শেষ দিন বা প্রথম দিন বলে কোন সাক্ষাৎ ভূমিষ্ট হয়নি ?
তারাই পরম আকাঙ্খায় জেগেছিল,
আমার জন্য...
এই চাওয়াটা কি দুর্বল ছিল না কংক্রিট ছিল তা জানি না?
এই অসীম ধ্বংস স্তুপে কেন
হতে পারলাম না এক ব্যতিক্রম মানবী?
থাকতো যদি মনে বিন্দুটুকু জেনে দেখার কৌতূহল!
এসব ভুলে ভরা পাখিটিকে আকাশে উড়িয়ে এখন কি লাভ?
ফুরিয়ে ফুরিয়ে যায় সবকিছু ফুরিয়ে।
এই যে এঁটো বারান্দা, শেষ বিকেলের আলো
প্রণয়বীনা আশি;
কাটাই দিবানিশি।
জন অরণ্যে বাড়বে পরিচিতি ঠিকই,
তবু সেই স্পর্শের স্মৃতিটুকুই উজ্জ্বল,
মুখ ধোয়া বেসিন থেকে পুরো ঘর।
সেই আমার একান্ত অবন্তী,
জানতো আমার জীর্ণ পান্ডুলিপি।
ধমক দিয়ে বলতো সে–
"আজও ভুল করেছে ওষুধ খেতে,
মাথা থেকে যায়নি এখনো কি কবিতা লেখার পোকা"?
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২২/০১/২০২৩