আমি সেই সময়ের কথা বলছি--
         যখন সময় দু:সময়ের কাছে বন্দি।
আমি সেই সময়ের কথা বলছি--
          যখন আততায়ী সব দু:স্বপ্নেরা।

আমি সেই সময়ের ইতিহাস লিখছি--
যে ইতিহাস
          শ্রমিকের শ্রমে মনিবের কথা লেখে,
          মজুরের ঘামে বিত্তের কথা লেখে,
          চাষীর হাসি লুটে নেয়া মুনাফেকের কথা লেখে।

আমি সেই দুঃসময়ের কথা বলছি--
         যে সময়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির ছোপ ছোপ দাগ,
         যে সময় দখল নিয়েছে দুর্বিনীত সুবিধাভোগীর দল,
         যে সময় হারিয়েছে মানবিক প্রেম দম্ভের বিনাশী
         চাকায়,
         যে সময়ের হৃৎপিন্ড জুড়ে শুধু লোভ, মোহ, চাটুতা
         আর অত্যাধুনিক ক্ষুধা,
         যে সময়ের অলি গলি রাজপথ জুড়ে উপস্থের
         পাশবিক গর্জন।

আমি সেই দুঃসময়ের কথা বলছি--
         যখন পল্যুটেড হয়ে গেছে মানুষের স্নায়ুবিক চেতনা,
         যখন সুবিধাভোগীর ভোগের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে সাম্য,
         যখন লোভাতুর মানুষের ব্যবসার উপাদানও হয়
         মৃত্যু,
         যখন দেয়ালের ফ্রেমে বন্দী হয়ে গেছে কিছু
         স্বপ্নবাজের স্বপ্ন।

আজ সেই দুঃসময়, আজ বিবসন মানুষের বিবেক।
বেপরোয়া সিন্ডিকেটের আগ্রাসনে আজ দেশ, এখন দুঃসময়।

দুঃসময় পেরিয়ে একদিন এদেশে ভাষা এসেছিলো, স্বাধীনতা এসেছিলো, এসেছিলো গনতন্ত্র
আসলোনা শুধু মানিবক বোধ, আসলোনা শধু সমতা
সাধরণ জনতা চিরকালই পেল শুধু সংবিধানেই ক্ষমতা।

বহুদিন গেছে কেটে, আরো কিছু কাল যদি যায় যাক
সুবিধাভোগীর সীমাহীন ক্ষুধা একদিন নিবৃত্তি পাক।

আজ আর নয় কোন প্রতিবাদ, নয় মিছিলের ঐ প্রহসন
আর নয় বৃথা রক্তপাত, অপেক্ষায় শুধু বিবেকের জাগরণ।

এখন দুঃসময়।।

বিপ্লব কুন্ডু
২০২০০৯০৭।