কেটেছে বহু সময় অগণিত মানুষের ভীড়ে রাতের কলকাতা শহরে।
নির্জন বাইপাসে অন্তহীন অপেক্ষাতে চেয়ে দেখি চাঁদ ঢাকে শহুরে ধোঁয়াশাতে।
ফুসফুসে মিশে যায় নিকোটিন,আচ্ছন্নতার ডোপামিন বেড়ে চলে গুরু মস্তিষ্কের অন্তস্থলে।
তখনও মেটেনি স্বাদ তীব্র আহ্লাদে মেতে ওঠে মন,অবুঝ শিশুর মতন নাছোড়বান্দা প্রতীক্ষায় রাতের কলকাতায়।
ঘরে ফেরার কংক্রিট ভীড় উপচে পরে রাস্তায় নৈঋত বিবর্ন শোভা যাত্রায়।
নৈঃশব্দের সাথে সখ্যতায় ভেসে চলেছে জীবন অলিখিত গদ্য কবিতার মতন,শুধুই উপমায়।
শত পদচিহ্ন মিশে যায় এগিয়ে চলার অভিপ্রায়,
মেতে ওঠে শৈশবের কাটাকুটি খেলায় একরাশ অপেক্ষায়।
ধুলোর আলপনায় ব্যস্ত ফুটপাত অজস্র পদাঘাত
তারই পাশে অগণিত নিরন্ন মুখ বুকে নিয়ে আশা বেঁধেছে বাসা।
পাখির মতন ঘরে ফেরার ব্যস্ততা লেগে আছে বন্দরে,স্বপ্নেরা ঘরে ফেরে
পন্যের মত বিকিয়ে জীবন মধ্যবিত্তের প্রত্যাগমন, জীবনের মোহে ক্লান্ত দেহে এ শহরে না বলা গল্পের ভীড়ে ছন্দবিহীন কবিতার অন্তরালে।
মৌনতায় দাঁড়িয়ে জীবন নিষ্প্রাণ ইমারতের মতন
ভিক্ষারির বেশে সর্বক্ষন আবদার দুটো পয়সার।
মনমরা কৃষ্ণচূড়ার মুছে যায় শেষ লাল পরে থাকে শুধুই কঙ্কাল প্রত্যাশার।
হিংস্র সরীসৃপের মতন তীব্র গতিতে ছুটে যায়
পরাবাস্তবতার নীল বাস। অসমাপ্ত জীবনের প্রত্যয়ী ইতিহাস
মিশে যায় ভালোবাসায় রাতের কলকাতায়।