রিক্ত সন্ধ্যায়
নিঃস্ব ধূমাঙ্কি গোধুলির আভায়,
ডুবিয়াছিল রক্তচক্ষু চৈত্র সবিতার।
বিদীর্ণ করিয়া হিংস্র জড়তার তুষার,
নব ভৈরবে চক্ষু মেলিয়াছে নবারুন আবার।
ষড় ঋতুলয়ের দ্বার খুলি
আসিয়াছে উন্মেলিত উদ্বেলিত নব বৈশাখ
শিশুর ন্যায় দ্বিপাণি তুলি।
সুশোভিত হইয়াছে চিরহরিৎ বৃক্ষ সকল
নব প্রভাতে আঁখি মেলিয়াছে কতক শতদল।
ফুটিবে আরও ফুল শান্তির কুসুম
যুদ্ধ হইবে হেথায় আকাশ কুসুম।
ঘুচিবে বিদ্বেষ, অশান্তি, ক্লেশ
ঘটিবে মানবতার নব উন্মেষ।
হাসিবে সকল ব্যতীত চিত্ত নব ভরসায়।
নব ছন্দে নব সুরে বৈশাখী জোয়ার আসায়।
মুক্ত প্রভাতে ব্যস্ত দুপুরে
কাঁদিবেনা শিশুমুখ অন্নের তরে।
হারাইবেনা স্বপ্ন নব প্রতিভার
মুক্ত বিহঙ্গ দল ছুটিবে নব বলাকায়।
নিঃস্ব সন্ধ্যায় ধূমাঙ্কি গোধুলির আভায়
ডুবিয়াছে চক্ষু রক্ত চৈত্র সবিতার।
নতুন স্বপ্ন জাগরিত হইবে আজ
নবরূপে সাজিবে জীবনের ক্যানভাস।
বৈশাখী সুর বাঁধিবে নব গান
মান, অভিমান, দুঃখ বেদনার হইবে অবসান।
বিচ্ছেদ, যন্ত্রনা, হতাশা হইবে আজই ম্লান।
জীর্ণ পত্রে উঠিবে নব কিশলয়ের আহ্বান।
আরোগ্য হইবে আজি দুরারোগ্যে আক্রান্ত যারা।
পথ খুঁজিয়া পাইবে সকল দিশেহারা মনমরা মানুষেরা।
হইবে জয় নিপীড়িতের,সত্যের,পবিত্রের।
মানুষ হইবে আজি নিখাদ সোনা, দৃঢ় চরিত্রের।
ভুলিয়া সকল দ্বিধা সকল ভুল
ফুটিবে আজিকে নব ফুল
শান্তি,মৈত্রী আর সৌহার্দ্যের।
রিক্ত সন্ধ্যায়
নিঃস্ব ধূমাঙ্কি গোধুলির আভায়
ডুবিয়াছে রক্তচক্ষু চৈত্র সবিতার।