একা

বিনয় দাস

সুদীর্ঘ সময় পরে আজ ফের আমি একা,যেন কোনো ফাঁকা ধূসর নগ্ন নির্জন দ্বীপ।
আমার হৃদয় সরীসৃপ,ভাবনারা বেদুইন।
এখন দেওয়ালঘড়ির টিকটিক শব্দেই ঘুম ভাঙে,স্বপ্ন খুঁজতে গিয়ে এক সেমিকোলন বিকেলে খুঁজে পাই অশ্রুসিক্ত হারানো কবিতার পাণ্ডুলিপি।
মানুষের রক্তে ভেজা আমার শহরের গলিপথ।গোধূলির আলোর মতো ফেকাসে ঘাসে ঢেকে আছে আমার নগ্ন শরীর আমার জীর্ণ আত্মা।
সাইকেলের ভাঙা স্পোকের ন্যায় আমার ভাঙা পৃথিবী আর নষ্ট জীবনে অনাবৃত দশমিকের মতো অসীম দুঃখ ফিরে আসে বারংবার।
রঙিন ক্যানভাসে নতুন করে স্বপ্ন আঁকতে গিয়ে দেখি ছেড়া ক্যানভাসে তুলির আঁচড় ,ভাবনারা আজ হিমোসায়ানিন।

সুদীর্ঘ সময় পরে মৃত
মানুষের ভীরে তাই আজ খুব একা।
মৃত শিশুর মতো স্বপ্ন  চোখবুঁজে  আছে স্মৃতির এলবামে ইতিহাসের হাত ধরে।
আটলান্টিক মহীসোপানে ভাসমান সবুজ প্লাংটনের মতো একরাশ সবুজ স্বপ্ন হারিয়ে গেছে কোনো এক আনকোরা ধূসর মরু ঝড়ে।ঘর জুড়ে এখন ছড়িয়ে আছে সুগভীর গিরিখাত আর ধূসর উপত্যকা কোথাও বা মিশরীয় পিরামিড ।
অপ্রত্যাশিত বেদনার  সাথে এখন সখ্যতা, যেন এক প্রকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে আছে অসময়ের হাত ধরে।
মানুষের সহজ হৃদয় যেন
আজ দুষ্পাঠ্য  অচেনা মিশরীয় হায়ারোগ্লিফ ।

তবুও
এখন কলকে ফুলের মতো হলুদ সন্ধ্যা নামে, রৌদ্রের গন্ধ ভেসে আসে স্নিগ্ধ বাতাসে, খেলা করে যায় আমার বিনিদ্র চোখের পরে মুখের পরে।
মৃত প্রজাপতির ডানার মতো প্রতিটি বিবর্ন সকালে আজও তাই স্বপ্ন খুঁজি কলমের হাত ধরে বেঁচে থাকার তরে।