বেখেয়ালি মন করে আত্মগোপন খবর রাখেনি তোর।
হারিয়ে গেছিস এক সেমিকোলন ভাবনার আড়ালে সময়ের অন্তরালে ।
স্মৃতি হয়ে আজ আমারই প্রোথিত গাছে হলুদ কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে অন্তিম অপেক্ষার।
গুটি বসন্তে ঢেকেছে শরীর জীর্ণ আত্মা মুঠোফোনে মুছে গেছে তোর অন্তিম বার্তা শেষ যাত্রা।
ফেলে দীর্ঘশ্বাস খবর রাখেনি অভিমানী লাল পলাশ সম্পর্কের ইতিহাস বই হয়ে মিশে যায় ইঁদুরের আলপনায় বাহ্যিক জল্পনায়।
যন্ত্রনার জাফ্রানী আকাশ পড়ন্ত বিকেলের চোখে বুজে আসা সর্বনাশ আমি দেখেছিলাম।
আমারই রক্তে অনুক্ষন প্রবেশ করে হিমোসায়ানিন আমি ফিকে হয়ে আসি কম্বোজের মত মুখ গুজে থাকি পত্র ফলকে সকলের অলক্ষে।
তারপর কোনো এক কাক ভোরে বৃষ্টি ভেজা শহরে,
উন্মত্ত সেই আমি আজও যেন চির শাশ্বত মিশরীয় পিরামিডের মত দাঁড়িয়ে শুধুই অপেক্ষায় অন্তহীন প্রতীক্ষায়।
আপন করে আত্মসুখ বহুচেনা মুখ যেন অচেনা গ্রীক হায়ারোগ্লিফ।
ঘুম আসেনি স্লিপিং পিলে ঘটেনি সমন্ময় ঘড়ির পেন্ডুলামে শুধু বয়ে গেছে সময় নদীর স্রোতের মতন উত্থান পতনে।
না নিয়ে যতন বদলেছে প্রেমিকার মুখের আদল নিসর্গ প্রকৃতির মতন।
শত দুঃখ অভিঘাত আর অভিশাপ তবুও বদলায়নি নাছোড়বান্দা এ হৃদয়ের ক্যানভাস যেন বিক্ষুব্ধ স্পার্টাকাস।
না বলে কত মানুষ চলে গেছে জীবন থেকে ভুল বুঝে,বলাকার শেষ ঝাকের মতন মিশে গেল গোধূলির রক্তিম আভায়
সুমাত্রা বা জাভায় আগ্নের গিরি হয়ে জ্বলছে কত মন প্রতিক্ষন।
কতবার ভালোবাসা হতে চেয়েছে কত হৃদয় এই ক্যানভাসের আকাশে নিঃশব্দে অথবা ভিসুভিয়াসে।কত ঝড়ের সাক্ষী এই আমি,মৃত প্রজাপতির ডানার মত কত মুখ ধূসর হয়ে গেছে।
কত বন্ধু চলে গেছে,কত মানুষ রঙ বদলেছে গিরিগিটীর মতন ,
কত মুখ লুকিয়েছে মুখোশের আড়ালে হিসেবের অন্তরালে।
কত মানুষ শুধু নাম্বার হয়ে রয়ে গেছে সেলফোনে তার হিসেব কে বা রাখে?
টেনে সম্পর্কের ইতি কেই বা দেখে সেই হিসেবের পান্ডুলিপি?
বদলেছে সময় বদলায়নি এই বেপরোয়া বেখেয়ালি মন ব্যস্ত সারাক্ষণ খবর রাখেনি তোর...