বেদনার চর পড়া জীবননদীর চৌকাঠে দাঁড়িয়ে
শুধুই নদীপাঠ শুনি আর ডুবন্ত সূর্যের
রোগাটে পুচ্ছের উপর ছুঁড়ে দিই এলানো দৃষ্টি
যেন বা অনুযোগ নেই তার বলি হতে রাত্রির করাতে--
স্বেচ্ছাবন্দি মাথা এগিয়ে দেয়- নিস্তেজ প্রাণটা লাফায়
রক্তধোয়া আঁজলা তখনো ছুঁয়ে ছিলো সূর্যমুখির ঠোঁট
কে-ই বা ধৈর্য ধরে মরা স্মৃতির লবণ চাঁখে?
ক্ষয়িষ্ণু বয়স আরো ক্ষয়িষ্ণু করে তোলে
বাসি অতীতকে-- বর্তমানটা টাটকা শবজি...
একসময় আলোর পিন্ড খসে পড়তো নদীর ঘাটে
নক্ষত্রেরা স্নান সেরে পুজো দিয়েছে কতবার ভালোবাসার
ডালা সাজিয়ে-- হাসিতে গড়িয়ে পড়েছে একে অন্যের গায়ে--
আর নাগিনী ঝর্ণাতো নেচেই মাতাল বীণের ঝড়ে...
থরেথরে সাজানো ঢেউগুলো মাড়িয়ে গেছে সোনালি মাছেরা--
সেসব কথা আজ ভাবনার দড়ি-- চম্বুকের বিন্দুগুলো মুছে গেছে
সময়স্রোতে-- সূর্যধারে পড়েছে বার্ধক্যের মেঘ
হাড়ের ভেতর এখন শকুনের জলসাঘর
ফুসে ওঠে হিংসুটে হাঙ্গরেরা-- অন্ধকার সিঁড়ি গুণে গুণে
এতোদিনে বুঝলাম সময় কাউকে ক্ষমা করে না।
(এই কবিতাটি অনন্যা প্রকাশনি থেকে ‘‘বিন্দুবন্দি লাটিম” কাব্যগন্থে প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ এর বই মেলায়)