মাংসগুলো ঝুলে গেছে থেঁতানো পেয়াজের মত
তবু শরীর ঘামে বৈশাখীজ্বরে-- কমলা লেবুর
কোয়াঠোঁটে বাণ ডেকে যায় হাজার বছরের হরিণীতৃষ্ণা
চোখের কোণে ঢেউ ভাঙে সাত সাগরের ক্ষুধাতুরা--
যদি প্রাণের চাষ হতো-- আরো এক টুকরি রোদ--
কোন অলক্ষ্যে নূপুরের ঝড়ে বনানীর কচিপাতা ঝরে
শান্ত দিঘির জলে-- নৃত্য আর সবুজের টানটান শিহরণ
¯স্রোতের ফেনা কেটে ফিরে যায় হাজার বছর উজানে
যেখানে বাতাসে গেঁথে আছে আমার শেকড়
এতো জল এতো ঢেউ তবু দিঘির বুকে
কিসের হা-হা শূন্যতা
কষ্টের মোম গলে ব্যথাতুরা পাড়ের বুনন খসে খসে যায়
যুগলপাহাড় পা রাখে জলের ঘাটে আড়মোড়া ভেঙে নাইতে থাকে
মায়াবিনী কখন নাড়ির বন্ধন ছিঁড়ে নাভিশ্বাস তোলে কে জানে
লোনা দেশের মৎস্যরাণী বেভুল পথে ভেসে আসে
মিঠা চরের বাঁকে-- কিছুক্ষণ জলকেলি তারপর
ফিরে যাওয়া ঘরামির ঘরে। যাবে যদি যাও ভেতরে যে
যোজন যোজন হাহাকার দেখেছো দু’মুঠো আঁচলে নাও
উটের জোড়া ভুরুতে আল্পনা এঁকে দিও
হাত ধরাধরি করে আবার এসো এঘাটের দোয়ার চিরদিনই খোলা থাকবে।