ঘামঝরা দুপুর তিনপায়ে দাঁড়িয়ে
বেলা ফেরি করে না আর-- গর্জে ওঠে না সোনালি
মাছেদের মিছিল-- সে তো অনেক আগের কথা...
উপুড় নৌকার ঘাড়ে জমে থাকা কালো ঘাম
রোদের ঢেউয়ে তলিয়ে যাচ্ছে-- হায়! তৃষিত চোখ তার
কতদিন জলের নূপুর স্পর্শ করেনি--
ঝিনুকের খোলসটি এখনো বিড়বিড় করে--
কুড়ানিরা মুক্তোটি নিয়ে গেছে বুক ফেঁড়ে-- পঁচা পানিতে
কিছু দিন মশার বাসর তবু ভালো লাগতো সান্ত্বনার
জাল বুনে। আশংকায় ঘুম নেই চোখে-- নিকটে কোথাও
পায়ের শব্দ শোনা যায়-- ওই বুঝি কুড়ানিরা এলো...
কতদিন মাঝিরা ফেরেনি যেখানে জীবন ঘষে
আগুন জালাতো-- পায়ের চিহ্নে জমে থাকা ছাই
বাতাসের সাথে তর্ক করে তাতা মরুর বুকে--
নদীবুকে ঝুলে থাকা মরমি তরুলতা আর
রক্ত ঢালে না-- ফাগুনের আলতা রাঙানো পা দুটো
মুছে ফেলে ড্রেনের ঘোলা জলে--
আশাহত হৃদয়ে তবু আশা জাগে--
আবার যৌবনা নদী গর্ভবতি হবে-- ঘাটে ঘাটে জমবে
জীবনের নীলমেঘ-- মাঝি মাল্লার ভাটিয়ালি সুর
গড়িয়ে যাবে কিশোর বেলা।