ফ্যাকাশে নদীর ঠোঁট কুঁচকে মৃত জন্তুর
চামড়ার মতো ঝুলে যায়--
নাড়ি ভুঁড়ি গলে তল পেটে জাগে চর
ফুঁ- দেয়ার শক্তি কোথায়? সঞ্চিত অক্সিজেনটুকু
ফুসফুসের ফ্রীজে হিম হয়ে থাকে না--
উলঙ্গ রোদের বারুদ একেবারে কাবাব করে ছাড়ে...
কতোদিন ভোরের মিষ্টি আলো মেখে
কুয়াশার পাখিরা এই ঘাটে নামেনি শব্দের হাত ধরে
সেই কবে ছন্দরা নূপুর পায়ে কবিতার নদী
সাঁতরে গেছে আর ফেরেনি-- সোনা ঝরা বিকেল
ঢেউ তুলেনাকো বৈকালি মাঝির ঘাম বিকিয়ে
ঝর্ণার গানতো মরেই গেছে একমুঠো মৃদু সুরের অভাবে...
কষ্ট করে ছেঁকে রাখা কবিতার পোনাগুলো দারুন তড়পায়
কলিজার ডোবাজলে-- হৃদয়ের কাদা কুঁরে কুঁরে খায়
কিন্তু এভাবে আর কতোদিন-- ফাঁপা বেলুনতো একদিন
রৌদ্রখোলায় পুড়ে পুড়ে মাতাল হবেই--
আশার জিহ্বা তবু বাসা বাঁধে দু’হাত মেলে বরণডালা
উঁচিয়ে ধরে-- আসবে শব্দরা আসবে---
যৌবনের বালিশে আবার উষ্ণতা নেবে
তৃষিত ঠোঁটে ধুয়ে দেবে কবিতার শরীর।
(এই কবিতাটি অনন্যা প্রকাশনি থেকে ‘‘বিন্দুবন্দি লাটিম” কাব্যগন্থে প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ এর বই মেলায়)